শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মশা থেকে সুরক্ষায়...

তাকওয়া তাবাস্সুম

মশা থেকে সুরক্ষায়...

ঋতুবদলের এই সময়ে শীত তার হাত গুটিয়ে চোখ রাঙাচ্ছে গরম। বসন্তের এই আগুনঝড়া দিনে সন্ধ্যা নামলেই বাসা-বাড়িতে হানা দেয় মশার পাল।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মশাও বাড়ছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। বেশ কিছুদিন ধরে মশা যা বেড়েছে, তাতে কোনো ঝুঁকি নেওয়া যাচ্ছে না। তাই এখন থেকেই চাই সচেতনতা।

 

সন্ধ্যা ও সারারাত তো বটেই, দিনেও মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনজীবন। কয়েল বা স্প্রে এ সমস্যার সঠিক সমাধান নয়। এর বিকল্প ব্যবহার সম্পর্কেও জ্ঞান থাকা চাই। কী কী তা জেনে নিন...

 

♦  একটি লেবু কেটে ভিতরের অংশে অনেক লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধু লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, কয়েকদিন রিল্যাক্স থাকুন।

♦  মশা কর্পূর একদমই সহ্য করতে পারে না। ফার্মেসি থেকে ৫০ গ্রামের একটি কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করে দিন। এরপর ঘরের কোণে রেখে দিন।

♦ নিমের তেল মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা করবে সহজেই। নিমের তেল ত্বকের জন্যও ভালো। তাই সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। মশা থাকবে না।

♦ পুদিনা পাতারও রয়েছে মশা দূরে রাখার ক্ষমতা। শুধু মশাই নয় পুদিনার গন্ধেও অনেক ধরনের পোকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ঘরের সব মশা পালাবে।

প্রাকৃতির সমাধানের পাশাপাশি ঘরোয়া সচেতনতাও প্রয়োজন। সেগুলো হলো— 

 

♦ ঘরের দরজা-জানালায় নেট বা জাল ব্যবহার করুন। এতে ঘরে মশা ঢুকতে পারবে না।

♦ যে মশাগুলো ঘরে ঢোকে, তার জন্য মশারি বা বৈদ্যুতিক ব্যাট ব্যবহার করুন।

♦  কয়েল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এর চেয়ে মশারি ব্যবহারই নিরাপদ। শুধু স্বাস্থ্যের দিকটি নয়, নিরাপত্তার দিকও বিবেচনায় রাখা উচিত।

♦ সন্ধ্যা নামার আগেই দরজা-জানালা বন্ধ করে দিন। কারণ, মশা আলো থেকে অন্ধকারে যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর