শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রচ্ছদ

সুস্থ ত্বকের জন্য

সুস্থ ত্বকের জন্য

♦ মডেল : রাফিয়া নূর ♦ মেকওভার : ওমেন্স ওয়ার্ল্ড ♦ ছবি : মঞ্জুরুল আলম

মোহনীয় ত্বকের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ নারী-পুরুষ সবার। সৌন্দর্য কথাটি শুনলে যে কারও চোখে ভেসে ওঠে লাবণ্যময় হাসিমাখা একটি প্রতিচ্ছবি। অনেক ভিড়ের মাঝেও আপনাকে আলাদা প্রাধান্য পেতে সাহায্য করে সুন্দরের আভিজাত্য। আর তাই দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্য পেতে দরকার নিয়মিত পরিচর্যা। সামান্য অবহেলা সেখানে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে শুধু ত্বকের পরিচর্যা করলেই হলো না, একই সঙ্গে মানতে হবে সঠিক খাবার পদ্ধতি। প্রতিদিনের তালিকায় থাকতে হবে উপযুক্ত খাবারের উপস্থিতি। তবেই সুস্থ সুন্দর ত্বক নিশ্চিত সম্ভব।

গরম বাড়ছে। গ্রীষ্মে গরমের প্রকোপ থাকবে প্রকট। সঙ্গে এসে জুড়বে সানট্যান, রোদে পোড়া ভাবসহ নানা উপসর্গ। তাই বলে তো ঘরে বসে থাকা চলে না। নিত্যদিনের কাজকর্ম, অফিস সব সামাল দিয়ে বিয়েবাড়ি, টুগেদার পার্টি আরও কত কী! কিন্তু কাঠফাটা রোদ আর বাইরের অসহ্য গরম থেকে ত্বককে সুস্থ এবং সুরক্ষিত রাখতে এখন থেকে প্রয়োজন সতর্কতা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন— ফেরদৌস আরা

 

সময় এখন গ্রীষ্মের দখলে। রোদের দাবদাহ সংকেত দিচ্ছে ভয়াবহ গরমের। বাতাসে আর্দ্রতা না থাকায় গ্রীষ্মের শুরুতেই গরম উঠেছে চরমে। বছরের ঠিক এ সময়টি যেন তীব্র গরমের জন্য বরাদ্দ। যদিও হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়োহাওয়া সাময়িক পরিত্রাণ দিলেও ত্বক তো চায় সার্বক্ষণিক শীতল পরশ। কড়া রোদ্দুর তাপিত হাওয়া জনজীবনে আনে নাভিশ্বাস। ঘরে থাকলে তবু নিস্তার, তবে কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোলেই সমস্যা।

 

তা ছাড়া গরমে সমস্যারও কমতি নেই। বাইরের অসহ্য তাপ, ধুলা, পলিউশন সব মিলিয়ে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠি আমরা। বাইরে বেরোলেই মন চায় গলা ভেজাই কোল্ড ড্রিংকস বা আইসক্রিমে। আর রোদ থেকে ঘরে ফিরেই গোসলে মেতে উঠি। আসলে গরমের আরামের সমাধান এসব নয়। ঘরে-বাইরে খাওয়া-দাওয়া, পোশাক পরিচ্ছদ, শরীর ও ত্বকের যত্ন সব মিলিয়ে প্রয়োজন সময়োপযোগী সতর্কতা। সঠিক নিয়ম মেনে চললেই রোদ্দুর তাপিত হাওয়ায়ও মিলবে প্রাণচঞ্চল সুস্থ ত্বক। এক্ষেত্রে রোজকার রুটিন আর লাইফস্টাইলে একটু পরিবর্তন আনাই যথেষ্ট।

 

রোদ্দুর দিনে ত্বকের সুস্থতা

গরমে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। সারা দিন রোদে পুড়ে কাজ করে শরীর হয়ে যায় ফ্লুইড ব্যালেন্সহীন। বাইরে যত রোদ পড়ুক না কেন কাজ তো থেমে নেই! গরমে ত্বকে রোদ পড়লে স্যানটানের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকে ছোপ ছোপ কালো দাগ পড়ে। রোদের দাপটে ত্বক হয়ে যায় নিষ্প্রাণ। চেহারায় রোদেপোড়া ভাব চলে আসে। এ ছাড়াও রোদের কারণে আমাদের ত্বকে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি স্কিন ক্যান্সারের জন্যও দায়ী। তাই রোদ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ক্লেনজিং, টোনিং, ময়াশ্চারাইজিংয়ের মতো ট্রিটমেন্ট। বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাবেন। বাইরে বেরোনোর অন্তত ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগান। আপনার ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী উচ্চ এসপিএফ-যুক্ত সানস্ক্রিন লাগান। এটি সূর্যের ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। মুখের সঙ্গে সঙ্গে গলা, ঘাড় এবং ত্বকের বিভিন্ন অংশে ভালো মানের সানস্ক্রিন লাগান। তবে ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নিন। শুষ্ক ত্বকে ক্রিমবেস এবং তৈলাক্ত ত্বকে জেলবেস সানস্ক্রিন ভালো।

 

সপ্তাহে দুই দিন ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন। গ্রাউন্ড আমন্ড আর দই একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটিও মুখে লাগাবেন। ১৫ মিনিট পরে হালকা করে ঘষে নিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্যানটানের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে টক দই, চালের গুঁড়া ও কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এ ছাড়া রোদের প্রতাপ সহ্য করে দিন শেষে ঘরে ফিরে প্রতিদিন ঠাণ্ডা দুধে তুলা ভিজিয়ে সানবার্নের ওপর লাগান। ত্বকের কালোভাব দূর হবে এবং ত্বক নরম হবে। এ ছাড়া রোদে বেশিক্ষণ থাকার ফলে চুলেও সানবার্নের সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাড়িতে রোজ অয়েল ম্যাসাজ, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে বেসনের সঙ্গে টক দই ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

 

ত্বকের যত্নে কয়েক পদ

♦  সমপরিমাণে পাতিলেবুর রস ও জল মিশিয়ে তা মুখে ও গলায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। বিশেষ করে যেখানে কালো ছোপ পড়েছে সেখানে বেশি করে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

♦   সানট্যানিংয়ের ওপর আলুর রসও খুব কার্যকর হয়। এর জন্য বেশি খাটাখাটনি না করে আলু স্লাইস করে কেটে বা কুচিয়ে নিয়ে তা মুখে লাগিয়ে নিন। এ ছাড়া ডার্ক স্পটে ভালো আলুর রস লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

♦   বেসন, সঙ্গে অল্প হলুদ গুঁড়া, কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস বা শসার রস, কিছুটা দুধ মিশিয়ে নিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে ও গলায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দেবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত প্যাক শুকিয়ে যায়। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে প্যাক ধুয়ে নিন। যাদের ত্বক সেনসেটিভ তারা পাতিলেবুর রসের পরিবর্তে শসার রস ব্যবহার করুন।

 

সুপার টিপস

♦   একটা বাটিতে দুধ আর বরফ টুকরো নিয়ে নিন। একটা টাওয়েল রুমাল ভিজিয়ে কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

♦   শসা স্লাইস করে ৭-১০ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। ত্বক ক্লান্ত দেখালে মুখে ঘষে নিন।

♦  ক্লান্ত ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন।

 

কেয়ার টিপস

♦   হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করুন। অনেক সময় আর্দ্রতার অভাবে ত্বক বিশেষ মলিন দেখায়। এই ম্লান মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে এই মাস্ক খুব উপযোগী। ত্বকের ক্ষতি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।

♦   গোসলের পর ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগান। গোসল শেষে ত্বক অনেক সময় আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ময়েশ্চারাইজিংটা এই সময় খুবই জরুরি।

♦  ক্লান্ত ত্বকের ক্ষেত্রে সূর্যের ইউ ভি রশ্মি বিশেষভাবে ক্ষতিকারক। তাই প্রতিবার বাইরে যাওয়ার আগে এসপিএফ ৩০+ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

 

নিত্যদিনের রূপ রুটিন

সারা দিনের জমে থাকা ধুলাময়লা, ঘাম, তেল রোমকূপে জমে ত্বকের ক্ষতি করে। ত্বক শুষ্ক, স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত যে ধরনের ত্বকই হোক না কেন ক্লেনজিং ইজ মাস্ট। তবে সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার না করে ক্লেনজিং মিল্ক বা জেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। মুখ পরিষ্কার করার পর তুলোয় টোনার নিয়ে ভালো করে মুখ মুছে নিন। ক্লেনজিং, টোনিংয়ের মতোই ময়েশ্চারও জরুরি। ময়েশ্চারে ত্বক ভালো থাকে।

 

মাসে অন্তত একবার ফেসিয়াল

মাসে একবার করে ভালো কোনো পারলারে ফেসিয়াল করিয়ে নিন। সেখানকার এক্সপার্টরা ত্বকের এক্সফোলিয়েশন এবং ম্যাসাজ করে থাকেন। এরপর ফেসমাস্কও দিয়ে থাকেন। ফেসিয়াল ম্যাসাজের ফলে ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও মৃত কোষ ঝরে পড়ে। পাশাপাশি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে, চামড়া টানটান হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

 

প্রাত্যহিক নাইট কেয়ার

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর মুখে ও গলায় ভালো কোনো কোম্পানির নাইট ক্রিম লাগিয়ে হালকা হাতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। প্রয়োজনে সামান্য পানি নিতে পারেন। সবশেষে ভেজা তুলা দিয়ে অতিরিক্ত ক্রিম মুছে নিন। নাইট ক্রিম  ত্বকের ভিতর থেকে পুষ্টি জোগাবে। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বহুগুণ বাড়বে এবং ত্বক থাকবে কোমল ও মসৃণ।

 

বাদ যাবে না চুলচর্চাও

গরমে চুলের যত্নে রোজ দিনের রুটিনে বাড়তি সময় নিয়ে নিন। অয়েল ম্যাসাজ, শ্যাম্পু, কন্ডিশনারের মতো কয়েকটি জিনিস করুন। এ ছাড়া সপ্তাহে অন্তত একদিন হেয়ার মাস্ক ট্রাই করুন। গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ঘাম নিঃসরণ করে। এতে স্বভাবতই স্ক্যাল্পে সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে নিয়মিত চুলের পরিচর্চা প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু করুন। তবে যাদের রোদে চলাফেরা প্রতিদিনকার রুটিন, তারা রোজ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। হারবাল শ্যাম্পু হলে ভালো। শ্যাম্পু করার সময় প্রথমে চুল ভিজিয়ে নিন। তারপর আঙ্গুলের ডগা দিয়ে শ্যাম্পু স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগান। হালকা করে ম্যাসাজ করুন। তবে খুব জোড়ে ঘষবেন না। শ্যাম্পু করার পর বেশি করে ঠাণ্ডা পানি ঢেলে চুল ধোবেন। শ্যাম্পু যেন লেগে না থাকে।

 

সুস্থ ত্বকের খাবার-দাবার

ত্বকের যত্নে নামি-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধন, ফেসপ্যাক, পারলার- কোনো কিছুই বাদ পড়ে না। অথচ ত্বকের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে, আপনি কি খাচ্ছেন তার ওপর। আর তাই জেনে রাখা দরকার কোন খাবারে ত্বক থাকবে সুস্থ ও সতেজ।

আপনার রোজকার খাবারে যোগ করুন হোল গ্রেইন রুটি বা সিরিয়াল, শাক-সবজি, সালাদ, নানারকম ফল, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার। এগুলো থেকে আপনার দেহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পায়। খাবারগুলো হজমও হয় ঠিকমতো। আপনার বেছে নেওয়া খাবারে থাকতে হবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি। ফ্রি র‌্যাডিকেলস ক্ষতিকর উপাদান যা ধূমপান, মদ্যপান, অত্যধিক সূর্যের তাপ, বায়ুদূষণের কারণে শরীরে জমা হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে বিভিন্ন ফ্রি র‌্যাডিকেলসের বাজে প্রভাব থেকে রক্ষা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় রঙিন ফলমূল, বাদাম, মাছ, গ্রিন টির মতো খাবারে। প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমাণ অলিভ অয়েল খেলে ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক সজীব রাখে। অলিভ অয়েলের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান টমেটো। প্রতিদিন পাঁচ চা চামচ পরিমাণ টমেটো স্যুপের সঙ্গে এক চামচ অলিভ অয়েল খেলে ত্বক অনেক বেশি সজীব থাকে। ত্বক ভালো রাখতে গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে গ্রিন টি পান করা। যারা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক গ্রিন টি পান করেন তাদের ত্বক বেশি মসৃণ ও নমনীয় হয়। এ ছাড়াও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক সুস্থ রাখে। ত্বক ভালো রাখতে বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। পানি বেশি খেলে ত্বকের ভাঁজ দূর করার পাশাপাশি শরীরে চিনি জমতে পারে না। চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন বেশি করে পানি পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি নিয়মিত কফি পান করলেও ত্বকের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে কফি পানের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হলে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ত্বকের যত্নে আরেকটি উপকারী উপাদান হলো ডিম। ডিমে চর্বির পরিমাণ কম এবং প্রোটিন থাকে বেশি। তাই ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে নিয়মিত ডিম খেতে পারেন। এক্ষেত্রে সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া এবং গাজরও উপকারী হতে পারে। মিষ্টি কুমড়ায় থাকা বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। ত্বককে সজীব ও নরম রাখতে এই উপকারী খাবারগুলো হতে পারে আপনার প্রতিদিনের সঙ্গী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর