শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
কেশকাহন

মেঘবরণ কেশ

মেঘবরণ কেশ

♦ ছবি : সিঁথি ♦ ছবি : নেওয়াজ রাহুল

রেশমি উজ্জ্বল চুল! সে তো স্বপ্নসম। কিন্তু কে না চায় তাকে ছুঁতে। তাই রইল দৈনন্দিন যত্ন, হেয়ার প্যাক বা চুলের ডায়েট...

 

স্ক্যাল্প মালিশ করুন

চুল ভালো রাখার জন্য নিয়মিত স্ক্যাল্প মালিশ করুন। এটা মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ায় যা চুলের ফলিকলে পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে কেবল আঙুল দিয়ে মালিশ করুন। এটা মাথার ত্বক সুস্থ রাখে ও দ্রুত চুল বড় করতে সাহায্য করে।

 

রোজ চুল ভেজান

রোজ নিয়ম করে চুল ধোবেন। নিত্য দিনের পলিউশন, ধুলোবালি, ঘাম ইত্যাদি স্ক্যাল্পে আস্তানা গাড়ে। এতে চুলেরই ক্ষতি হয় বেশি। নিয়মিত চুল ধুয়ে এসব বিদায় করুন। চুল উজ্জ্বল থাকবে।  

 

ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধোয়া

চুল পরিষ্কার করতে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন। এটা চুলে দ্রুত পরিবর্তন আনে। শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহারে চুল ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এটা চুলের আর্দ্রতা হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি চুলের কিউটিকেল ভালো রাখে।

 

ভেজা চুল মালিশ

গোসলের সময় মাথা মালিশ করার মাধ্যমে দিন শুরু করুন। গোসলের সময় মাথার ত্বকে আঙুল বুলিয়ে মালিশ করুন। ভালো ফলাফলের জন্য ঘাড়ের পেছন থেকে চুলের লাইন অনুযায়ী সামনের দিকে মালিশ করা শুরু করুন।

 

আগা ছাঁটুন

চুলের আগা শুষ্ক ও রুক্ষ হলেও চুলের আগা ছাঁটা উচিত। অন্যথায় চুল ছোট হয়ে যেতে পারে। চুল বড় করতে চাইলে আগা ছাঁটুন। ছয় থেকে আট সপ্তাহ পরপর চুলের আগা ছাঁটলে চুল দ্রুত বড় হবে।

 

যথার্থ সম্পূরক গ্রহণ করা

চুলের জন্য প্রয়োজনীয় সঠিক পুষ্টি সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। চুল ভালো রাখার জন্য সঠিক ভিটামিন বেছে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি চুল শক্তিশালী রাখে। যেসব সম্পূরকে বায়োটিন থাকে তা চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।

 

কন্ডিশনার ব্যবহার

কন্ডিশনার চুল ভালো রাখে। কিন্তু কীভাবে রাখে তা অনেকেরই জানা নেই। শ্যাম্পু প্রতিদিন চুলের ময়লা ও ধুলাবালি দূর করে ও কন্ডিশনার চুলে পুনরায় পুষ্টি যুগিয়ে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

 

স্টাইলিং টুলস থেকে বিরত থাকা

হেয়ার স্টাইলিং টুলস যেগুলো তাপ প্রয়োগ করে যেমন— স্ট্রেইটনার, কার্লিং আয়রন ইত্যাদি। এগুলো চুলের ক্ষতি করে, দুর্বল ও ভঙ্গুর করে ফেলে। তাই এই ধরনের স্টাইলিং যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ করুন। আর যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে আগে তাপ নিরোধক প্রসাধনী ব্যবহার করে নিন।

 

প্রয়োজনীয় টিপস...

♦ সপ্তাহে তিন দিন থেকে চার দিন শ্যাম্পু করেন? তাহলে সেটা ফলো করুন। এ সময় স্ক্যাল্পে ময়লা বেশি জমে বলে শ্যাম্পু নিয়মিত করতে হয়। তাই শ্যাম্পু হওয়া চাই মাইল্ড, চুল যাতে তার ঔজ্জ্বল্য না হারায়। ঠিক এই কারণেই কিন্তু এ সময়ে ডিপ কন্ডিশনিং প্রয়োজন।

♦ চুল বড় করতে চাইলে কেমিক্যাল বেজড ট্রিটমেন্ট থেকে বিরত থাকুন। যতটা সম্ভব ন্যাচারাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। অত্যধিক শুষ্কতার জন্য এ সময় ডগা-ফাটার সমস্যাটা বেশি। তাই ডগা ফাটলেই ট্রিম করুন। এতে চুলে বাউন্স বেশি আসবে। ট্রিমিংয়ের পর চুলের নিচের অংশে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করুন।

♦  শ্যাম্পুর মতো অয়েল ম্যাসাজও খুব জরুরি। ব্লাড সার্কুলেশন এবং চুলের গোড়া মজবুত রাখার জন্য ভালো করে তেল ম্যাসাজ করুন। পরদিন সকালে শ্যাম্পু।

♦  অ্যাভোকাডো অয়েল, অ্যালোভেরা রস ও জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। যখনই চুল খুব ড্রাই লাগবে, এটা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। চটজলদি শাইন আসবে। 

♦ কুসুম গরম পানির সঙ্গে ২ টেবিল চামচ জিলাটিন পাউডার ভিজিয়ে রাখুন এবং সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ, সামান্য কন্ডিশনার এবং ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটি ব্রাশ দিয়ে চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন এবং কন্ডিশনার লাগান।

♦  সর্বোপরি দীর্ঘক্ষণ বাইরে বা খুব রোদে থাকতে হলে মাথায় স্কার্ফ জড়িয়ে নিন। সঙ্গে ছাতা রাখুন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর