শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

পোশাকে শালীন

পোশাকে শালীন

♦ মডেল : জেরিন ও মেহের নিগার ♦ ছবি : ফ্রাইডে

কোন ধরনের পোশাককে শালীন বলা যায়? নিশ্চয় এমন কোনো পোশাক যার নকশার ধরন ও রঙে একটি মোলায়েম ভাব থাকবে। পোশাকের ভাব-গাম্ভীর্য অন্যের কাছে ব্যক্তিকে সম্মানের পাত্র হিসেবে উপস্থাপন করে। আমাদের দেশে শালীন পোশাক বলতে ঢিলেঢালা লম্বা পোশাককেই বোঝানো হয়। অর্থাৎ পোশাকের আবরণে নারী-পুরুষের আব্রু ঢাকা চাই পুরোপুরি। শালীন পোশাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন—তানিয়া তুষ্টি

 

সালোয়ার-কামিজ-ওড়নার থিমেও শালীনতা বজায় রাখা যায়। এক্ষেত্রে কামিজের ক্ষেত্রে লম্বা ঝুল, ফুল অথবা থ্রি কোয়ার্টার হাতা, হাইনেক এবং ঢিলেঢালা হলে ভালো হবে। পরিহিত পোশাকে যেন আপনার দেহের গড়ন আকর্ষণীয়ভাবে স্পষ্ট না হয়। ওড়নাটিও থাকবে অবশ্যই বড় মাপের। যাতে মাথাসহ পুরো শরীর ভালোভাবে ঢাকা থাকে। এ ধরনের কামিজের ডিজাইনে থাকতে পারে গোল কাট, ছয় ছাঁট, ডাবল বা সিঙ্গেল পার্টসহ জরি, পুঁতি, জার্দোসি, লেসের ব্যবহার। এ পোশাকগুলোই কেউ কেউ প্রায় গোড়ালি ছুঁই ছুঁই পরেন। কেউ হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কামিজে খুশি।

 

পোশাকের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা বাচবিচার। শালীন পোশাক পরার অর্থ এই নয় যে, আপনাকে বড় আলখেল্লা কাপড়ে মুড়ে থাকতে হবে। নিজেকে মার্জিত আবরণে মোড়াতে ব্যবহার করতে পারেন ফ্যাশনেবল বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। সালোয়ার-কামিজ-ওড়নার থিমেও শালীনতা বজায় রাখা যায়। এক্ষেত্রে কামিজের ক্ষেত্রে লম্বা ঝুল, ফুল অথবা থ্রি কোয়ার্টার হাতা, হাইনেক এবং ঢিলেঢালা হলে ভালো হবে। পরিহিত পোশাকে যেন আপনার দেহের গড়ন আকর্ষণীয়ভাবে স্পষ্ট না হয়। ওড়নাটিও থাকবে অবশ্যই বড় মাপের। যাতে মাথাসহ পুরো শরীর ভালোভাবে ঢাকা থাকে। এ ধরনের কামিজের ডিজাইনে থাকতে পারে গোল কাট, ছয় ছাঁট, ডাবল বা সিঙ্গেল পার্টসহ জরি, পুঁতি, জার্দোসি, লেসের ব্যবহার। এ পোশাকগুলোই কেউ কেউ প্রায় গোড়ালি ছুঁই ছুঁই পরেন। কেউ হাঁটু পর্যন্ত লম্বা কামিজে খুশি। কামিজের ডিজাইন যেমনই হোক, মূল থিম হলো শরীরের গড়ন অস্পষ্ট রেখে ত্বক যতটা পারা যায় ঢেকে রাখা। যুগের হাওয়া বদলে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে পাবেন মনের মতো ডিজাইনের পোশাক। অপরদিকে পুরুষের শালীন পোশাক বলতেও একই বৈশিষ্ট্য প্রাধান্য পাবে। অর্থাৎ শরীরের সংবেদনশীল স্থানকে আড়াল করে মানানসই ঢিলেঢালা পোশাককে বোঝানো হয়। এ ক্ষেত্রে শার্ট-প্যান্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা সবই গ্রহণযোগ্য। শুধু অপরের সামনে নিজেকে কামুক রূপে উপস্থাপন থেকে বিরত রাখতে যেমন পোশাক পরা যায় তাই-ই শালীন পোশাক বলে বিবেচিত হতে পারে।

 

সবখানে মানানসই

শিক্ষায়তন, অফিস, সামাজিক অনুষ্ঠান, বেড়াতে যাওয়া, আড্ডা বা যে কোনো অনুষ্ঠানে আপনি একই পোশাকে উপস্থিত হতে পারেন। রুচিশীল শালীন পোশাক দেশীয় আবহাওয়াতেও ভাবাবে না। হঠাৎ কোনো উৎসব বা শোকাবহ পরিবেশে যাওয়ার সময় নিজের পোশাকটি বেমানান মনে হবে না। এমনকি বন্ধুদের আড্ডাতেও পোশাকটি থাকবে স্বস্তিদায়ক।

 

সব বয়সেই মানানসই

বয়সের বিষয়টি মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন চলে। টিন বা ইয়াংরা যা পরবে, বয়স্কদের ক্ষেত্রে তা বেমানান। অথচ মার্জিত পোশাকে অভ্যস্ত থাকলে ঝামেলার আশঙ্কা খুবই ক্ষীণ। আপনি আগেও যেমন পরেও তেমন। বরং এই পোশাকের দীর্ঘদিনের ব্যবহারে আপনিই নতুন সৌন্দর্য আবিষ্কার করবেন। টিন, ইয়াং বা এজি—সব বয়সেই আপনি থাকবেন মানানসই।

 

ফ্যাশনেবল মানেই ওয়েস্টার্ন নয়

পাশ্চাত্য মানেই অনেকের কাছে উঁচু স্তরের আদবকেতা। তাদের চাল-চলন, পোশাকের ধরন সবই অগ্রগণ্য ও কামনার। ব্যবসায়ী মহল ক্রেতার এই দুর্বলতাকে আকর্ষণ করতে পোশাকে এনেছে বৈচিত্র্য। ফলে পোশাকে অনেকটাই থাকছে ওয়েস্টার্ন ছোঁয়া। কেউ তাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলেও নিজের অজান্তেই অপরের চোখে আবেদনময়ী। কখনো কখনো বিড়ম্বনার শিকারও হতে হয়। অথচ আমাদের দেশীয় পোশাকেও আপনি হতে পারেন ফ্যাশনেবল। শুধু জানতে হবে ব্যবহারের ধরন।

 

আধুনিকতায় মার্জিত রুচির পোশাক

বিশ্বায়ন বলুন আর সময়ের বিবর্তন বলুন, প্রয়োজনের সবকিছু সামনে হাজির। প্রয়োজন অনুযায়ী তা থেকে বেছে নেওয়ার দায়িত্ব আপনার। ঠিক তেমনি সব দেশের সব কালচার, ব্যবহূত অনুষঙ্গ বা পোশাকের ধরন-ধারণও আমাদের হাতের নাগালে। তাই যে যেটিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটিই ফ্যাশনে পরিণত হয়। এই ব্যাখ্যায় আধুনিকতার সঙ্গে মার্জিত রুচির পোশাকও আছে স্ব-অবস্থানে। তাই প্রয়োজন বোধে আপনিও বেছে নিতে পারেন সেসব শালীন পোশাক।

 

পোশাকে ব্যবহূত অনুষঙ্গ

শালীন পোশাক মানেই আপনাকে সাদামাটা হতে বলা হয়নি। পোশাকের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন মানানসই অনুষঙ্গ। সাজগোজে থাকতে পারে মানানসই আধুনিকতা। সেখানে যা যা প্রয়োজন ব্যবহার করতে পারেন। মুখের হালকা মেকআপ, হাতের চুড়ি, গলার মালা, রুচিশীল জুতা, ব্যাগ সবই থাকতে পারে আপনার সাজে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, সে সাজেও যেন উগ্রতা প্রকাশ না পায়। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন মোলায়েম সাজই আপনার জন্য উপযুক্ত হবে।

 

ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ

সর্বোপরি মানুষের ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে পোশাকের মাধ্যমে। পোশাকের ধরন দেখেও বোঝা যায় মানুষটি কেমন মেজাজের। তাই তো কাউকে রগরগেভাবে উপস্থাপন করতে এক টুকরো সংক্ষিপ্ত পোশাকই যথেষ্ট। পোশাক ঠিকই পরছে অথচ অন্যের আকর্ষণ লাভে দেহের সংবেদনশীল স্থানগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। এসব এড়িয়ে নিজেকে ভদ্রোচিত প্রকাশে বা নমনীয় লুকে উপস্থাপনে শালীন পোশাকের তুলনা নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর