শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইন্টেরিয়র

ঘরের কোণে বাঁশঝাড়

মোহাম্মদ সুজন

ঘরের কোণে বাঁশঝাড়

গাছপালার নেশা যদি নতুন, আর বাড়ি সাজানোর নেশা যদি অন্যতম উদ্দেশ্য হয়, তাহলে এরিকা পাম আদর্শ। রইল এরিকা পাম গাছের পরিচর্যার ষোলো আনা—

 

গাছপালা পালনে বড্ড বেশি যত্ন প্রয়োজন। দায়সারা যত্নে গাছপালার বেজায় অভিমান। ফলত গাছপালা নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। মূলকথা, আপনি তার যত্ন নেবেন সেও আপনাকে খুশিতে ভরিয়ে রাখবে। কিন্তু গাছপালার যত্ন নিতে তাদের চরিত্র সম্পর্কে জানা আবশ্যক। কোনো গাছ অন্দরে শোভা দেয়, আবার কোনো গাছ বাইরের আবহাওয়ায় আনন্দে নাচে। কেউ পানি খেতে ভালোবাসে আবার কেউবা সামান্য ছায়াতেই তৃপ্ত হয়। এমন অসংখ্য কলা-কসরত মাথায় রেখে গাছপালার যত্ন নিতে হয়। আগেও বলেছি নতুন বাগান তৈরির নেশা জাগলে এরিকা পাম গাছ দিয়ে শুরু করতে পারেন।

 

এরিকা পাম। নামটা সুন্দর, দেখতেও বেশ। অনেকে আবার কেন্ পাম বা গোল্ডেন ফেদার নামে চেনেন। এর ঝিরিঝিরি পাতা তুবড়ির মতো চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সরাসরি সূর্যের আলো এদের পছন্দ নয়। সামান্য আলোতেই এদের আনন্দ। অফিস কিংবা আপনার বাসার পূর্বমুখী জানালার ধারে বা বারান্দার আধখোলা পর্দার পেছনে রাখলে ভালো। সরাসরি সূর্যের আলোয় হলদে বরণ ধারণ করে হারায় সবুজ যৌবন। এই গাছের শেখর বেশ মিহি হওয়ায় যত্নটাও নিতে হয় যথাযথ। এদের গোড়ায় পানি জমে থাকলে শিকড় পচে যায়। তাই যে টবে গাছটি রোপণ করবেন তার নিচে যেন ফুটো থাকে, যেন পানি চলে যেতে পারে। শীতে এদের পানি কম লাগে বলে বুঝেশুনে পানি দিতে হবে।

 

গোড়ার দিকে অনেক কাণ্ড মিলে বেশ একগুচ্ছ এরিকা পাম তৈরি হয়। দেখতে অনেকটা বাঁশঝাড়ের মতো। এরা ধীরে ধীরে বাড়ে। এদের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এরা ঘরের টক্সিন শোষণে বেশ সহায়ক। খুব বড় টব প্রয়োজন নেই। ছোট টবেও এরিকা পাম বেশ সাবলীল। খুব বেশি ছোট টবে এরা বড্ড বেমানান। ডালপালা বেশি ছড়িয়ে পড়ে বিধায় দেখতে বাজে দেখায়। খুব বেশি সারের প্রয়োজন হয় না। মাঝে মাঝে গাছটি ভালো করে ভিজিয়ে দিন।

 

এত গেল যত্নের কথা। এবার আসি ঘর সাজানোর গল্পে। সদর দরজার বাইরে, সিঁড়ির কোনায় সিরামিকের স্ট্যান্ডে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়া ঘরের কোনায় বেতের প্ল্যান্টে বেশ মানাবে। আর পাশেই লম্বা স্ট্যান্ড ল্যাম্প পুরো ঘরটি করবে ঝিরিঝিরি পাতা ছায়ার রোমান্টিক আবহে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর