ঘরোয়া রূপচর্চার টিপস ঘেঁটে দেখুন, সেই প্রাচীনকাল থেকে আজ অবদি কাঠ বাদামের জাদু নিয়ে বলে আসছেন রূপবিশেষজ্ঞরা। কাঠ বাদাম দিয়ে তৈরি যে কোনো ঘরোয়া প্যাক ত্বকে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। হার্টকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল রাখার কাজও করে।
ত্বকের যত উপকার
এটি ত্বকে থাকা সিবেসিয়াল গ্ল্যান্ড থেকে তেল নিঃসরণ কমিয়ে প্রাণবন্ত ত্বক পেতে এর জুড়ি নেই। বাদামের ফেসপ্যাক ত্বকের তৈলাক্ততা কমায়। পাশাপাশি জেদি দাগগুলো দূর করে সহজেই। এখানেই এর গুণাবলির শেষ নেই। ত্বকের উজ্জ্বলতা রাখতে রূপবোদ্ধারা বাদামে ফেসপ্যাক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাদাম এন্টিএজিংয়ের সবচেয়ে আদর্শ মাধ্যম। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
সব রকম ত্বকের দাওয়া
কয়েকটা ভেজানো কাঠ বাদাম আর কাঁচা দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার পেস্টটি মুখে মেখে ২০-২৫ মিনিট রাখুন। একদম শুকিয়ে গেলে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর দেখবেন আপনার ম্যাড়মেড়ে মুখ কেমন নিমেষে চকচকে আর নরম হয়ে ওঠে। উপকার পাওয়ার জন্য কিন্তু একদিন পর পর সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে।
ফর্সা হতে চান?
কাঠ বাদাম, কাঁচা দুধ ও কেশর একসঙ্গে বেটে পেস্ট করে নিন। এবার মুখে ভালো করে মেখে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ব্যবহার করুন। এক মাসের মধ্যেই দেখবেন আপনার ত্বক অন্তত দু টোন ফর্সা হচ্ছেই!
যে কোনো দাগ দূর করে
ত্বকের জেদি দাগ কমাতে সাহায্য করে কাঠ বাদাম। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো মুলতানি মাটির সঙ্গে বাদাম গুঁড়ো এবং গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে একদিন অন্তর অন্তর ত্বকের পরিচর্যা করলে দেখবেন মুখের সব দাগ মিলিয়ে গেছে।
ত্বকের সব সমস্যার একটি উপযুক্ত সমাধান তো পেলেন। তবে আর দেরি কেন? আজই ঘরে ট্রাই করুন।