♦ লবঙ্গ খুবই ঝাঁঝালো, উপাদেয়, ঘ্রাণময় মসলা। এর ইউগেনল মানবদেহের রক্ত পরিশুদ্ধ রাখে। এটা শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। ফলে, কফ-কাশি নিরাময়, কৃমি প্রতিরোধক, যৌনরোগ এবং গলার নানা সংক্রমণরোধক হিসেবে এটি দারুণ কার্যকর।
♦ প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ফাইবার এবং আয়রন সমৃদ্ধ এই মসলা কেবল রান্নায় স্বাদ-গন্ধই বাড়ায় না, এটি জীবাণুনাশক হিসেবেও কার্যকর। এটা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীদের উপকারী। এটি হরমোনের ভারসাম্যও রক্ষা করে।
♦ মুখের সংক্রমণ বা পেটের সমস্যা, গোলমরিচ গুঁড়া বেশ উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, রক্ত পরিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে। নানা খাবারের সঙ্গে মসলা চা-ও বানাতে পারেন গোলমরিচের সাহায্যে।♦ রান্নার সুগন্ধী বয়ে আনতে তেজপাতার জুড়ি নেই। উপকারী এই মসলা ত্বকের অ্যালার্জি কমাতেও সাহায্য করে। এটি খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। তেজপাতা গুঁড়া দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ির ক্ষতের দ্রুত সমাধান হয়।
♦ মৌরি কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় এবং স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। এই প্রাকৃতিক ভেষজ মসলা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে।
♦ মেদ কমানো থেকে অ্যান্টি ভাইরাল হিসেবে মেথি খুব কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন কে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভূরিভোজের ঈদে মানবদেহের নানা সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মেথি দিয়েই বানান মাছ-মাংস।
♦ এলাচি ক্যান্সার প্রতিরোধ, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, হুপিংকাশি, ফুসফুস সংক্রমণ ও অ্যাজমায় এলাচি খুবই উপকারী। এটি মুখে দুর্গন্ধ, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ, হার্ট সুস্থ, রক্তচাপ ও ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
♦ আদার ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। এটি ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধ, পেটের অস্বস্তি বা পীড়া রোধ করে। এ ছাড়া কাঁচা আদা ওভারিয়ান ক্যান্সারের চিকিৎসায় আদা অন্যতম ভূমিকা রাখে।
♦ হলুদে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। চামড়ার চাকচিক্য, সুস্থ লিভার, উন্নত হজমশক্তি সব কিছুকেই সাহায্য করে এই মশলা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের আলজেইমার প্রতিরোধে হলুদ অত্যন্ত কার্যকর।