শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাঁধুনির মেকওভার!

উম্মে হানি

রাঁধুনির মেকওভার!

♦ মডেল : আনিশা নীলা ♦ ছবি : মেড শেফ কিচেন

নিত্যদিনের ঘরোয়া রান্না তো আর ফেসবুক বা ইউটিউব নয়। এরপরও গুটিকয়েক  নিয়ম মেনে রান্নাঘরে প্রবেশ করলে আপনি হয়ে উঠবেন পাকা রাঁধুনি।

 

একজন রাঁধুনির মেকওভার! এ আবার কিসের? চমকে ওঠার মতো কথা। একটু আগের সাদাকালো জমানার দিকে ফিরে তাকালেই হয়তো একটি কথা শুনেছেন অনেকেই। তা হলো রান্নাঘর পবিত্র স্থান। এসব কথা মা-খালাদের মুখে বেশি শোনা যেত। কথাটা বেজায় মিথ্যে নয়। যে ঘরটিতে পরিবারের সবার খাবার তৈরি হয়, সেটি তো পরিচ্ছন্ন থাকতেই হয়। সঙ্গে যিনি রাঁধবেন, তার দায়িত্বও অনেক। এ জন্য তাকেও সতর্ক থাকতে হয়।

 

রাঁধুনির মেকওভার কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে নামজাদা সব রাধুনিরা প্রায় একই কথা বলেছেন। আসলে রান্নাঘরে রাঁধুনির চাই মানসম্মত সাজগোজ। আজকাল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন— ফেসবুক, ইউটিউবেও দেখা যায় রাঁধুনিদের মেকওভার। শুটিং চলে বলে দৃষ্টিকটু মেকআপে সেজে ওঠেন অনেক রাঁধুনি। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক তার উল্টোটা।

 

মূল কথা হলো বাসার খাদ্যমন্ত্রী আপনি। আর যদি বাসায় আপনি নিজেই রান্না করেন। তাই কিছু বিধিনিষেধ না মানলেই নয়। আর এতে উপকার হলো খাবার থেকে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে। দাদি-নানীদের কাছে শোনা যেত, সকালে ঘুম ভেঙে বাসি মুখে বা বাসি কাপড়ে রান্নাঘরে প্রবেশ করা ঠিক নয়। এতে শরীর থেকে নানা রকম জীবাণু খাবারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই রান্নার সময় পোশাকটি যেন অবশ্যই পরিষ্কার থাকে। আধুনিক যুগ, প্রতিটি উপলক্ষে এখন আলাদা আলাদা পোশাক। সেখানে বাসার রান্নাঘরে রান্নার আলাদা পোশাক থাকবে না তা কি হয়! রান্নাঘরে রাঁধুনিরা সব সময় অ্যাপ্রন পরে থাকতে পারেন। ঠিক যেমনটা দেখা যায় টিভি অনুষ্ঠানে রান্না বিশারদদের। যদিও তা বাধ্যতামূলক নয়, তবে পরতে পারলে ভালো। অনেকে ধর্মীয় কারণেই হোক বা নিজস্ব সংস্কৃতিতে, রান্নাঘরে প্রবেশের আগে গোসল সেরে নেন। ব্যাপারটি চমৎকার। অনেকেই তা পুরোদমে না করলে রান্নার আগে অন্তত যেন হাত-পা-মুখ ধুয়ে নেন। হাতের নখ যেন সব সময় কাটা থাকে সেদিকটায়ও খেয়াল রাখুন। আর যারা নখ বড় রাখতে পছন্দ করেন, তারা গ্লাভস পরতে পারেন। নইলে নখের ময়লা খাবারে মিশে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যায়।

 

রান্নার সময় চুল ভালোভাবে আঁচড়ে টাইট করে বেঁধে নেওয়া ভালো। কেননা, ভুলক্রমে যদি কারও খাওয়ার সময় মুখগহ্বরে চুল ঢুকে যায়, তবে অস্বস্তির কমতি থাকে না। আর বাড়তি বিপত্তি ঘটে বমি দিয়ে। আর জীবাণুঘটিত রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা তো আছেই। রান্নার সময় আমরা সবাই সাধারণত আরেকটি বিষয় এড়িয়ে চলি। তা হলো রান্নাঘরের গরম ও আগুনের তাপে নিঃসৃত ঘাম। অনেকেই ঘাম মোছেন হাত দিয়ে, তারপর সেই হাত মুছে নেন পোশাকে। এমন প্রবণতা অস্বাস্থ্যকর। এই ঘাম অস্বস্তির কারণ তো বটেই, জীবাণু সংক্রমণও ঘটে। তাই রাঁধুনির হাতে একটি পরিষ্কার রুমাল বা তোয়ালে থাকা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর