শিরোনাম
শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

কীভাবে কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করবেন?

মোহাম্মদ সুজন

কীভাবে কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করবেন?

মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই ঈদে পশু কোরবানি করে থাকেন। কোরবানির মাংস দিয়েই বাড়িতে তৈরি হবে মজাদার সব রেসিপি। কিন্তু‘ মজাদার সব রেসিপি খাবার আগে মাংস সংরক্ষণ নিয়েই বিপাকে পড়েন অনেকেই। জেনে নিন কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করার সঠিক পদ্ধতি।

খাদ্যবিজ্ঞানে মাংসকে ফেলা হয় পচনশীল খাদ্যের তালিকায়। অর্থাৎ ঠিকমতো সংরক্ষণ করা না হলে মাংস খুব দ্রু“তই নষ্ট হয়ে যায়। কোরবানির মাংস কখনই এক মাসের বেশি ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। এতে মাংসের পুষ্টি গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব মাংস খেয়ে ফেলা উচিত। তবে রোদে শুকিয়ে এবং জ্বাল দিয়ে প্রাচীন পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

♦  কোরবানির ঈদের মাংস সংরক্ষণের একমাত্র অবলম্বন ডিপ ফ্রিজার। তাই ঈদের আগেই আপনার বাসার ডিপ ফ্রিজারটি পরিষ্কার করে নিন।

♦  রান্না করা মাংস কিংবা কোরবানির মাংস যাই হোক না কেন এয়ারবাইট কনটেইনারে রাখুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই খাবার ঢাকনা দিয়ে রাখবেন। এতে খাবার নষ্ট হবে না।

♦  কিমা করা মাংস তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত ফ্রিজার করে রাখা সম্ভব। তবে, বড় করে কাটা টুকরোগুলো ছয় মাস ভালো থাকে। এর চেয়ে বেশি দিন না রাখাই ভালো।

♦  কাটা মাংসগুলো অবশ্যই ভালো করে রক্ত পরিষ্কার করে এয়ারবাইট পলিতে সংরক্ষণ করে রাখুন। এক্ষেত্রে টিস্যু পেপার বা কাগজ ব্যবহার করতে পারেন।

♦  রান্না করা মাংস তিন দিন নরমাল ফ্রিজে রেখে খাওয়া যায়। এর থেকে বেশি দিন রাখলে স্বাদ ও পুষ্টি দুটোই নষ্ট হয়ে যায়।

♦ প্রাচীন পদ্ধতিতেও মাংস সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মাংস পাতলা করে কেটে লবণ মেখে শিক বা তারে আটকে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।

♦  অল্প পানি ও লবণ দিয়ে মাংস জ্বাল দিয়ে রেখে তা ধীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খেতে পারেন। এতে কোরবানির মাংসের পুষ্টি

অক্ষুণ থাকবে।

সর্বশেষ খবর