পরিপাটি সাজ, কপালে টিপ দেওয়া, চোখ-ভ্রু সাজানো, মেকআপ এমন কি পোশাকটি ঠিকঠাক মতো পরতেও প্রয়োজন হয় আয়নার। আয়না বা আরশি যাই বলুন না কেন, এটা ছাড়া নারী-পুরুষ সবারই সাজ থাকে অপরিপূর্ণ। যারা একটু বেশি সৌন্দর্যসচেতন, তাদের থাকে আয়না বিলাসিতা।

আয়না শুধু সাজপোশাক দেখার জরুরি উপকরণই নয়, অন্দরে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতেও ব্যবহার করতে পারেন আয়না। বাড়ির প্রবেশপথে কলিংবেলের পাশে রাখতে পারেন সুন্দর আয়না। বাড়িতে ঢোকার আগেই নিজেকে কেমন দেখাচ্ছে, তা দেখে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। আয়নাকে কেন্দ্র করে বাড়ির প্রবেশপথে গাছ, শো-পিস অথবা মোমবাতি দিয়ে সাজানো যেতে পারে।

বেড রুম বা ডাইনিং রুমে লাগানো যেতে পারে কারুকার্যময় আয়না। ঘরে এমন আয়না থাকলে ড্রেসিং টেবিলের প্রয়োজন পড়ে না। সাজের সব উপকরণ আয়নার পাশে র‌্যাক বা শো-কেস করে রাখতে পারেন। বাচ্চাদের ঘরের দেয়ালে আয়না লাগাতে চাইলে তাদের পছন্দের কার্টুনের ডিজাইনে তৈরি ফ্রেম ব্যবহার করতে পারেন।

বেড রুমটি বড় দেখাতে ব্যবহার করতে পারেন দেয়ালজুড়ে থাকা আয়না। আবার ঘরের পরিবেশটি অন্যরকম দেখাতে দেয়ালে ব্যবহার করতে পারেন নানা আকৃতির আয়না। কাঠ ও বেতের পাশাপাশি এখন নানা উপাদানে তৈরি হচ্ছে আয়নার ফ্রেম। বাজারে পাওয়া আয়নার ফ্রেমগুলোও দেখতে দারুণ বৈচিত্র্যময়।

ত্রিকোণ, চার কোণা, লম্বা, গোল এমন নানা আকৃতির ছোট-বড় বেশ কয়েকটি আয়না দিয়ে সাজাতে পারেন আপনার ঘরের দেয়াল। এসব আয়নার কোনোটিতে হয়তো আপনার চোখ দেখা যাবে, কোনোটিতে হয়তো দেখা যাবে নাক! শিশুরা দারুণ আনন্দ পাবেন এমন দেয়াল দেখে। দেয়ালে প্লাস্টার করে লাগিয়ে নিতে পারেন এসব আয়না। এ ছাড়া আইকা আঠার সাহায্যেও লাগানো যেতে পারে আয়না। ঘরের আবহ সুন্দর দেখাতে আয়নাগুলোর ফাঁকে রং করে সাজিয়ে নিতে পারেন দেয়ালটি। ফলস সিলিং তৈরিতে অনেক সময় কাচ ব্যবহার করা হয়। চাইলে সেখানে আয়নাও ব্যবহার করতে পারেন।

আড়ং, যাত্রা, চেইন শপ বা বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে পাবেন বিভিন্ন ডিজাইনের দারুণ সব আয়না। বেতের আসবাবের দোকান, ঢাকার গুলশান ডিসিসি মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, মৌচাকসহ ছোট-বড় অনেক মার্কেটে মিলবে আয়নার খোঁজ।