শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চুলে তেল দেওয়ার কায়দাকানুন

নূরজাহান জেবিন

চুলে তেল দেওয়ার কায়দাকানুন

চুল নারী-পুরুষ উভয়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই চুলগুলো আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা। রইল চুলে তেল দেওয়ার নিয়ম...

 

সুন্দর চুল পেতে প্রয়োজন পুষ্টি। সঠিক পুষ্টি না পেলে ঘন, কালো লম্বা চুল পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের মূল রহস্য হলো সঠিক পরিচর্যা। এ জন্য কায়দাকানুন মেনে চুলে তেল লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রূপবোদ্ধাদের মতে, ‘চুলের পুষ্টির কথা ভেবে সপ্তাহে দুই তিন দিন হলেও চুলে তেল লাগানো উচিত।’

চুলের পুষ্টিকর তেল :

চুলের যতেœ তেলের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে। আগের দিনে মা-খালাদের রোদে বসে চুলে তেল দিতে দেখা যেত। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই রীতি রেওয়াজ। আর সেই সুবাদে চুলের সঙ্গে তেলের গড়ে উঠেছে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। হারবাল তেল চুলের জন্য দারুণ উপকারী। এক্ষেত্রে নারিকেল তেল প্রথম বেস্ট অপশন। এতে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান, ভিটামিন, মিনারেলস এবং অন্যান্য নিউট্রিএন্টস প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এই কারণে নারিকেল তেল একই সফঙ্গ চুল পড়া কমায়, চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তোলে এবং চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়াও অলিভ অয়েল চুল এবং মাথার ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি জোগায়।

চুলে কতবার তেল লাগাবেন :

শুষ্ক চুলে নিয়মিত তেল লাগানো উচিত। সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত দুই-তিনবার তেল লাগাতে হবে। তৈলাক্ত চুলে তেলতেলে ভাব থাকে। ফলে প্রতিদিন ব্যবহারে চুল আঠালো দেখায়। তাই তৈলাক্ত চুলে সপ্তাহে একবার তেল লাগিয়ে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়া সাধারণ চুলে শুষ্ক বা তৈলাক্ত চুলের চেয়ে সমস্যা কম থাকে, তাই তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন নিয়ম মানতে হয় না। নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল এ চুলের জন্য বেশ উপকারী। সপ্তাহে অন্তত দুইবার তেল লাগাতে পারেন।

চুলে তেল লাগানোর কায়দাকানুন :

♦  প্রথমেই বিশুদ্ধ তেল বাছাই করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, আমলকী তেল ও ক্যাস্টর অয়েল বেছে নিতে পারেন।

♦  তেল দেওয়ার আগে উষ্ণ গরম করে নিতে পারেন। কুসুম গরম করা তেল আস্তে আস্তে চুল ও মাথার ত্বকে মালিশ করুন। চুলের পুষ্টি জোগাতে যুগ যুগ ধরে এই পদ্ধতিতে তেল দেওয়া খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।  ইচ্ছা করলে অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, আমলকীর তেল বা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে, উপকারিতা বাড়ে।

♦  সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়ার জন্য ঘুমানোর আগে চুলে তেল দিয়ে রাখুন। তোয়ালে বা পাতলা কাপড় দিয়ে মাথা মুড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যাম্পু করে নিন।

♦  অতিরিক্ত জোরে ঘষলে চুলের আগা নরম হয়ে অনেক চুল পড়তে পারে। আঙ্গুলের মাথা ব্যবহার করে আস্তে আস্তে তেল চুলের আগা এবং পুরো মাথায় মালিশ করুন। ১৫-২০ মিনিট মালিশ করলেই যথেষ্ট। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। 

♦  ২৪ ঘণ্টার বেশি তেল রাখা ঠিক নয়। এই পরামর্শগুলো মাথায় রেখে চুলে তেল দিন, তাহলে আপনার চুল হয়ে উঠবে শক্ত ও ঝলমলে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে।

♦  পরিষ্কার চুলে তেল লাগিয়ে হালকা স্টিম নিতে পারেন। এতে চুল কোমল মসৃণ হয়। প্রথমে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিতে হবে। এরপর তোয়ালেটি চুলে ভালো করে পেঁচিয়ে ৫ মিনিট রাখতে হবে। একইভাবে পরপর চার থেকে পাঁচবার স্টিম নেবেন। সব শেষে শ্যাম্পু করে নিন।

সর্বশেষ খবর