যদি কোনো ব্যক্তির কানের পর্দায় ফুটো না থাকে তাহলে কানে পানি ঢুকলে তা কানের পর্দা টপকে ভিতরে ঢুকতে পারে না। পর্দায় ধাক্কা লেগে পানি আবার বাইরে বেরিয়ে আসে। যারা নিয়মিত সাঁতার কাটেন বা ঝরনার পানিতে গোসল করেন, তাদের কানের ভিতরে পানি ঢুকে যায়। পানিতে যদি ব্যাকটিরিয়ার পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে কানের মধ্যে ব্যাকটিরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। আবার শুধু সাঁতারুদের ক্ষেত্রেই এমন সমস্যা হবে তাও নয়। যারা বেশি কান পরিষ্কার করেন বা ইয়ার বাড দিয়ে কান খোঁচান তাদেরও ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ, অতিরিক্ত খোঁচানোর ফলে কানের স্বাভাবিক প্রতিরোধকগুলো আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়।
কান ব্যথার লক্ষণ :
প্রথমতো মাইল্ড; এ পর্যায়ে কানে হালকা ব্যথা, অল্প অল্প পানি বেরোনো এর মূল লক্ষণ। দ্বিতীয়ত, মডারেট; এক্ষেত্রে রোগীর জ্বর, কানে অসহ্য ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কানের ফুটোর সামনের দিকের উঁচু অংশ (ট্রেগাস)-এ অল্প চাপ দিলে যদি ব্যথা বোধ হয় বা কানের লতি (পিনা) ধরে হালকা টানলেও যদি ব্যথা লাগে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।
সচেতন হোন :
সচেতনতা হিসেবে বলা যেতে পারে, কান খোঁচাবেন না। যারা সাঁতার কাটতে পছন্দ করেন তারা পানি থেকে ওঠে মাথা ও কান ভালো করে মুছে নেবেন। তবে এক্ষেত্রে তুলা বা কিছু দিয়ে কানের ভিতরে মোছার প্রয়োজন নেই। কান কাত করে ভিতরের পানি বের করে নিন। সাঁতারের সময় ওয়াটারপ্র“ু“ফ টুপি বা ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করতে পারেন। চিকিৎসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়। কানের ড্রপও দিতে হয়। যদি ব্যথা থাকে তাহলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে বলা হয়। যদি কারও কানের ভিতরে ছুলে যায় তাহলে ইনজেকটেবল অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হতে পারে। সাধারণত সাত থেকে দশ দিন ধরে চিকিৎসা করলেই হয়। তবে কান ফুলে গেলে বা পুঁজ জমলে চিকিৎসা আলাদা। যদি কানের পর্দায় ফুটো থাকে, তাহলে সাঁতার কাটা উচিত নয়।