বয়স বাড়লে কোমরে ব্যথা, পেট ব্যথা এমনকি একটু ঠান্ডা লাগলেও গলা ব্যথা ইত্যাদি আমাদের ভীষণ ভোগায়। রইল ব্যথা উপশমের উপায়...
হার্বস অ্যান্ড স্পাইস :
শুধু খাবারেই নয়, বরং নানা ব্যথার উপশম হিসেবে তুলসী দারুণ উপকারী। সমীক্ষায় দেখা গেছে, তুলসী আর্থ্রাইটিসের ব্যথা ৭৫% পর্যন্ত কমাতে পারে। অ্যারিগ্যানোতে ফলের চেয়েও বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। প্রতিদিন আধা চা চামচ এই হার্বস ব্যবহার করলে ব্যথা পালাতে বাধ্য। মেন্সট্রুয়াল ব্যথা কমাতে কথিত পেইনকিলারের চেয়েও উপকারী। দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ তেলের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। হাত-পা মচকে গেলে আগের দিনে হলুদের প্রলেপ দিয়ে রাখত। মূলত হলুদের কারকিউমিন নার্ভকে রিল্যাক্স করে। গলা ব্যথায় আদা-গোলমরিচে থাকা পিপেরিন ব্যথা কমায়। এ ছাড়া রসুন শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
শাক-সবজি ও ফলমূল :
সবুজ পালং শাক, ব্রকোলি, শালগম, কপিতে থাকে প্রচুর ফ্যাভনয়েডস। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে হার্টকে ভালো রাখে। নানা লাল কমলা সবজি ও ফলে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি ক্ষমতা থাকে। তাই খাবারে রাখুন গাজর, কুমড়া, লাল টমেটো, অপ্রিকট, পাকা পেঁপে, পাকা আম ইত্যাদি। লাল আঙ্গুর আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। চিনা বাদাম, ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি এবং চেরি ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।
পানীয় :
চা-কফি ছাড়া কি কারোর দিন চলে? এই চা-কফি ব্যথা কমায়। কফির ক্যাফেইন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্লাড ভেসেলে রক্ত চলাচল সাময়িকভাবে কমিয়ে মাইগ্রেন কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর গ্রিন টি হার্ট ভালো রাখে পাশাপাশি আয়ুও বাড়ায়। গ্রিন টিতে থাকা উপাদান আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমায়।
তেল :
প্রাচীনকাল থেকেই কিবরাজরা রোগের উপশম হিসেবে তেলের ব্যবহার করে আসছেন। বাতের ব্যথা, জয়েন্ট পেইন কমাতে নারিকেল তেল মালিশ করতে পারেন। এ ছাড়া অলিভ অয়েলও প্রাকৃতিক পেইনকিলার হিসেবে বহুল পরিচিত।
ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড :
উচ্চরক্তচাপ কমানো এবং হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি হিসেবে কাজ করে। এর কার্যকারিতা পেইনকিলারের মতোই তীব্র। বিভিন্ন মাছ এবং আখরোটে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড।