শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শিশুদের সিলিয়্যাক ডিজিজ

ফ্রাইডে ডেস্ক

শিশুদের সিলিয়্যাক ডিজিজ

শিশুর বয়স মাস ছয়েকের পর থেকে এর লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। প্রথম ছয় মাস শিশু মায়ের দুধ খায়, কিন্তু তারপর থেকে গমজাতীয় খাবার খাওয়ানো শুরু করলে তা দেখা দেয়।

 

সিলিয়্যাক ডিজিজ কী

গমজাতীয় খাবারের একটি বিশেষ পদার্থ গ্ল্যায়াডিন। আমাদের ইন্টেস্টাইন বা অন্ত্রে ‘ভিলাই’ নামক চিরুনির মতো কিছু ভাঁজ থাকে, যেগুলোর প্রধান কাজই হলো খাবারের উপস্থিত নিউট্রিয়েন্ট শুষে নেওয়া। যে সব বাচ্চার গ্ল্যায়াডিন ইনটলারেন্স আছে, তারা গমজাতীয় খাবার খেলে শরীরে কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যেগুলো ওই ভিলাইগুলো ড্যামেজ করে দেয়। ফলে স্বভাবতই,  শরীরের খাবারের অ্যাবসর্পশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

সিলিয়্যাক ডিজিজের লক্ষণ

এই ডিজিজের প্রধান লক্ষণ হলো অপুষ্টির ফলে বাচ্চার সঠিক শারীরিক বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত হওয়া।  বয়সের তুলনায় ওজন না বাড়া,  ডায়রিয়া অথবা কনস্টিপেশন হয় এবং নানা গ্ল্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই অসুখের চিকিৎসায় আর্লি ডায়াগনসিস গুরুত্বপূর্ণ। সিলিয়্যাক ডিজিজের লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। ব্লাড টেস্ট করে দেখতে হবে রক্তে কিছু নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি উপস্থিত আছে কিনা। এরপর প্রয়োজন ডেফিনিটিভ ডায়াগনসিসের। এই পরীক্ষায় স্মল ইন্টেস্টাইনের এন্ড্রোস্কোপি ও বায়োপ্সি করা হয়।

 

প্রয়োজনীয় চিকিৎসা

সিলিয়্যাক ডিজিজ বা গ্ল্যায়াডিন ইনটলারেন্সের চিকিৎসা বলতে প্রথমেই আসে লাইফ লং রেজিস্ট্রেকশন অব হুইট ফুড। অর্থাৎ, গম বা গমজাতীয় খাবার ডায়েট থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়ে চলতে হবে সারা জীবন। একবার ‘গ্লুটেন-ফি ডায়েট’ মেনে চলতে শুরু করলে শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। এ সময় শিশু ভাত, মাছ, মাংস, ডাল, ফল সবই খেতে পারবে। কেবল বাদ থাকবে সুজি, গম, আটা, বার্লির মতো খাবার। প্রয়োজনে নিউট্রিশিয়ানের পরামর্শে শিশুর ডায়েট চার্ট করে নিন। অভিভাবকদের মধ্যে এই অসুখ সম্পর্কে সচেতনতা থাকাটা কিন্তু খুব জরুরি। যত তাড়াতাড়ি এই অসুখটি ডায়াগনসিস করা যাবে তত তাড়াতাড়ি ডায়েট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে শিশুকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর