শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

হাফ শার্টে আরাম

হাফ শার্টে আরাম

♦ মডেল : আরজে অপু ♦ ছবি : নাঈম প্রিন্স ♦ পোশাক : ইজি

‘সামার ওয়্যারড্রব’। আরামদায়ক পোশাক না হলে তো জমবে না। আবার তা হতে হবে ট্রেন্ডি এবং ফ্যাশনেবল। এই দুয়ে মিলে সব বয়সী পুরুষের পছন্দের শীর্ষে হাফ শার্ট। কারণ, ফ্যাশনেবল তারুণ্য যেমন ফ্যাশনেবল থাকতে চান তেমনি আরামদায়ক ও স্বস্তিকর পোশাকেও জড়িয়ে থাকতে চান এই গরমে।

 

গরম এলেই হাঁসফাঁস অবস্থা। শরীর এবং মন দুয়েই চায় আরামদায়ক পোশাক। আর গরমে সব বয়সী পুরুষের কাছে সব সময়ই আরামের পোশাকের দিকে নজর দেন বেশি। আর সেই আরামদায়ক পোশাকের মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে হাফ শার্ট। কারণ ফ্যাশনেবলরা যেমন ফ্যাশনেবল পোশাকের দিকে নজর দেন  তেমনি আরামদায়ক ও স্বস্তিকর পোশাকের দিকেও  গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এসব শার্ট ঢিলেঢালা হয়, চাইলে একটু আঁটসাঁট করেও বানানো যায়। তাই এই গরমে হাফ শার্টে একদিকে যেমন গরম কম লাগবে, অন্যদিকে ফ্যাশনেও ভাটা পড়ে না। চেক, স্ট্রাইপ বা একরঙা সব ধরনের সুতি শার্ট চলছে এখন। এখন প্রিন্টের শার্টে জ্যামিতিক, ফ্লোরাল বা ইসলামিক মোটিফও বেশ জনপ্রিয়। তবে সব কিছুই নির্ভর করে হাতার ওপর। একেবারে সাদামাটা ঢিলেঢালা কাট তো আছেই, কিছু শার্টের হাতায় দেখা যায় আটপৌরে ছোঁয়া। অনেকটা আঁটসাঁট কাটিং অর্থাৎ মাসলফিট বলে তরুণরাও ঝুঁকছে এসব হাফ শার্টের প্রতি। কিছুদিন আগেও দেখা যেত ফুল হাতা গুটিয়ে বোতামবন্দী করে হাফ হাতা বানানোর কৌশল। এখন সেটা বদলে পুরোপুরি হাফ ট্রেন্ডে এসে ঠেকেছে। তাতে অবশ্যই ফ্যাশনের পাশাপাশি মিলছে গরমের স্বস্তিটুকুও। জানাচ্ছেন- এ কে রাসেল

 

বাজার ঘুরে দেখা গেল সুতি, মিক্সড কটন, খাদি, লিনেন, ভয়েল, রেনন কাপড়ের হাফ শার্ট । কাটিং ফিটিং-এ রয়েছে ভিন্নতা। স্ট্রাইপড, চেক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, পলকা ডট, ফুলেল মোটিফসহ আরও কত ডিজাইন। কখনো আবার শার্টের প্রিন্ট নকশা থেকে রং নিয়ে বসানো হয়েছে বোতাম ও পকেট। একাধিক প্রিন্টেড ফিউশনের দেখাও মিলছে শার্টে। ফুলেল নকশার সঙ্গে জ্যামিতিক নকশার সমন্বয়। তবে এসব শার্টের বোতামের ব্যবহারেও ভিন্নতা চান অনেকেই। বেশির ভাগ ক্রেতাসাধারণ কাঠের বোতাম আর প্লাস্টিকের রঙিন বোতাম বেশি পছন্দ করছেন। এসব দিক বিবেচনা করে গরমে তারুণ্যের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে আরামদায়ক হাফ শার্ট।

 

এ বিষয়ে ফ্যাশন হাউস ইজির পরিচালক তৌহিদ চৌধুরী বলেন, ‘গরমে ফুল হাতা বা ক্যাজুয়াল শার্ট অনেক সময় অস্বস্তির কারণ হয়। তাই বাইরে বের হওয়ার জন্য হাফ শার্ট মানিয়ে যায় বেশ। বাজারে কটন ও মিক্সড দুই ধরনের কাপড়ে তৈরি ক্যাজুয়াল শার্টও মিলছে। এসব শার্টের হাতায় নরমাল কাফ ও কলারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গরমে হাফ শার্টের কলার কাফ, ফিটিংসে এবং প্যাটার্নে রয়েছে বৈচিত্র্য। আরামদায়ক কাপড়ে রং হিসেবে রয়েছে সামার সফট কালার। চলতি সময়ের ট্রিম বা সিøম ফিটের সঙ্গে থাকছে প্রিন্টেট ফেব্রিকস।’

 

বৈচিত্র্যময় হাফ শার্ট

গরমের কথা বিবেচনা করে সবার প্রথম পছন্দ থাকে পাতলা কাপড়ের হাফ শার্ট। বহু ট্রেন্ড ঘুরে ফিরে এসেছে বার বার। এবারের হাফ শার্টের ট্রেন্ডে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। নতুন এসব হাফ শার্টে জলছাপ ও গাঢ় রঙের ফ্লোরাল প্রিন্ট চলছে বেশ। এসব শার্টের হাতার নানা কারুকাজও চোখে পড়ার মতো। কোনো কোনো হাফ শার্টের হাতা একেবারে সাদামাটা এবং শার্টের রঙের সঙ্গে মিলিয়েই করা। তবে এবার হাফ শার্টের হাতায় ফোল্ডিং এখন হাল ফ্যাশন।

 

আরামদায়ক ফেব্রিক

গরমে ক্যাজুয়াল লুকের জন্য স্ট্রাইপ, প্রিন্ট ও একরঙা শর্ট শার্টই বেশি পছন্দ তরুণদের। আর এবারের ট্রেন্ড প্রিন্টেড হাফ শার্টের। গরম হওয়ায় সুতি কাপড়ের হাফ শার্ট আরামদায়ক এবং স্বস্তির দিকটাও থাকে। প্রিন্ট, ব্লক, হাতের কাজের ও স্ট্রাইপ হাফ শার্ট জনপ্রিয়। কাপড়ের ক্ষেত্রে রয়েছে  রেনন, লিনেন, সুতি, ফুল কটন, মিক্স কটন, ফ্ল্যাক্স মিক্সড, খাদি, তাঁত প্রভৃতি যা গরমে হাফ শার্ট তৈরির উপকরণ।

 

হাফ শার্টে রকমফের

গরমে হালকা রঙের হাফ শার্ট দেয় স্বস্তি। হাফ শার্ট পারিবারিক পরিসরে বা অনুষ্ঠানে আপনার লুকে বৈচিত্র্য এনে দেবে। এখন হাফ শার্টে ন্যারো কলার, ব্যান্ড কলার তো আছেই, অনেক হাফ শার্টে আবার গেঞ্জি কলারও যুক্ত হয়েছে। সাদাসিধে কলারে সুই-সুতার কাজও চলছে বেশ। কাপড়ের রং হিসেবে লাল, নীল, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, মেরুন, পার্পল, কমলা প্রভৃতি চলছে বেশ। এ ছাড়া আছে বিভিন্ন ধরনের চেক হাফ শার্টও। লাল-নীল, নেভি ব্লু, সাদা-কালোর সমন্বয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চেকগুলো।

 

কোথায়, কেমন দাম?

নগরীর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে পাবেন এসব হাফ শার্ট। ইনফিনিটি, লুবনান, ইজি, ইয়েলো, সেইলর, ইয়াংকে, আড়ংসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে পাবেন এসব হাফ শার্টের কালেকশন। দাম পড়বে ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া ঢু মারতে পারেন বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, পিংক সিটি, পুলিশ প্লাজা, সীমান্ত স্কয়ার, নিউমার্কেট, নূরজাহান শপিং মলসহ রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মলগুলোতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর