শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

চায়না রোজের জাদু

সাইফ ইমন

চায়না রোজের জাদু

দেখতে অনেকটা গোলাপের মতোই। আকারে ছোট হলেও বারান্দা বা বাগানে বেশ রোমাঞ্চিত চায়না রোজ। যদিও এটা আমাদের দেশে জবা ফুল হিসেবেই পরিচিত। নামে কী আসে যায়! জেনে নেওয়া যাক এর পরিচর্যার আদ্যোপান্ত।

 

ছোট ফুল হলেও গাছজুড়ে শোভা পায়। পাপড়িও বেশ মোহনীয়। প্রকৃত রং লাল হলেও সাদা, হলুদ, নীল, বেগুনি, গোলাপি, ম্যাজেণ্ডা হাজারো রঙের বিন্যাস। বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংকরায়ণের ফলে বর্তমানে অনেক রঙের চায়না রোজ পাওয়া যায়। বারান্দার টবে বা ঝুলন্ত প্লান্টে বেশ সুন্দর দেখায় এই ফুলেল গাছকে। সারা দিনের ব্যস্ততাতেও একটু প্রশান্তি এনে দেবে বারান্দায় রাখা সুন্দরী চায়না রোজ। পাশাপাশি  জোগাবে অক্সিজেন এবং এনার্জি। অনেক দিন বেঁচে থাকার কারণে আমাদের দেশে অনেকে বাড়ির ছাদেও এই ফুলেল গাছ লাগিয়ে থাকে।

ফুল, লতাপাতা; এই ধর্মেই তো গাছেরা বেঁচে থাকে। চায়না রোজ গাছের ফুলগুলো নরম হলেও গাছটি কিন্তু  মোটামুটি শক্তপোক্ত। উজ্জ্বল আলো এদের বেশ পছন্দ। আর খোলামেলা পরিবেশে এরা বেশ বেড়ে ওঠে। বেশি পানি এদের পছন্দ নয়। চায়না রোজকে পরিমিত পানি দিতে হয়, যাতে পানি না জমে। আর সপ্তাহান্তে টবের মাটি কিছুটা কুঁড়েও দিতে হয়। মাটি স্যাঁতসেঁতে হলে এদের কলি এবং পাতা ঝরে যায়। নার্সারি থেকে তৈরি গাছ আনলে যথাযথ যত্নে ও এরা খুশি। কিন্তু নতুন গাছ রোপণ করতে নিয়ম মানতে হয়। বারান্দার টবে রোপণ করতে ছোট আকাড়ের মোটা কান্ডের চারা রোপণ করতে হবে। এ ধরনের চারাগুলো সাধারণত সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয় এবং টেকেও বেশি।

এ ছাড়া এদের বংশ বাড়াতে গাছ থেকে কাটিং করে  বসাতে পারেন। তবে আলো, তাপমাত্রা ঠিক না থাকলে এদের বেঁচে থাকাটা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। নতুন শেকড় ছাড়তে শুরু করলেই পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খুব বেশি গরম বা শীতে এই গাছ কাটিং করবেন না। একটি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল কান্ডের একেবারে ওপর দিক থেকে কাটতে হবে। যেন ফুল বা কুঁড়ি না থাকে। মাত্র চার ইঞ্চির মতো কেটে তার তলায় ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে নিন। বেলে-দোঁআশ মাটি এদের জন্য উপযোগী। টবে মাটি ও সার দিয়ে সামান্য ভিজিয়ে নিতে হবে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল গাছ পেতে শুকনো গোবর এবং সামান্য ছাই মিশিয়ে নিতে পারেন। এসব উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

দুই হাত দিয়ে সমানভাবে মিশিয়ে নিতে পারেন। কাটিংয়ের নিচের দিকের সব পাতা ফেলে টবের ঠিক মাঝখানে গর্ত করে গাছটি বসান। চাইলে গাছ রোপণের আগে রুটিং হরমোন দিতে পারেন। এটি ভালো নার্সারিতে পাবেন। গাছ লাগানোর পর আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে গোড়ার মাটি শক্ত করে দিতে হবে। মাটিতে ভালোভাবে গাছটি রোপণ করে ওপর থেকে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন। দুপুরের কড়া রোদ এই গাছের সহ্য হয় না। আবছায়া স্থান পেলে এরা বেজায় খুশি। একটি বাশের কঞ্চি পুঁতে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখুন। আর নিয়মিত পানি দিন। স্প্রে বোতল দিয়ে পাতায় স্প্রে করতে পারেন। এটা বেশি জরুরি। চার থেকে ছয় সপ্তাহেই হাসে চায়না রোজ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর