শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্টাইলিশ-ট্রেন্ডি কার্লি চুল

উম্মে হানি

স্টাইলিশ-ট্রেন্ডি কার্লি চুল

ছবি : ফ্রাইডে

পুজো এলে সাজ পোশাক থেকে চুলের সাজ- সবকিছুতেই থাকে ট্রেন্ডি ছোঁয়া। কার্লি বা কোঁকড়ানো চুল; তেমনি এক হেয়ার স্টাইল। যদিও এই চুল সামলানো বেশ ঝক্কি আর সময়ের ব্যাপার। রইল পরামর্শ...

 

পুজো বাদ্যি বাজে। তবে পুজোয় পোশাকই শেষ কথা নয়। সঙ্গে জুড়ে নিতে হবে ট্রেন্ডি সাজগোজও। তাই পুজোয় সব সাজের অন্যতম কেশসজ্জা। আর তাই তো ট্রেন্ডি হেয়ার স্টাইলে নিজেকে সবার চেয়ে আলাদা দেখাতে পারলারগুলোয় দৌড়ঝাঁপ চলছে কদিন আগে থেকেই। কার্লি বা কোঁকড়ানো হেয়ার স্টাইল তেমনি এক স্টেটমেন্ট। যদিও কার্লি বা কোঁকড়ানো চুল সামলানো বেশ ঝক্কি আর সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তার ওপর খরচের দিকটিও দেখতে হয়। তাহলে পুজোয়  কার্লি বা কোঁকড়ানো চুলের সাজ কি অধরা থেকে যাবে? মোটেও নয়; বরং বাড়িতে বসেই চুল কার্লি করে ফেলুন। খুব সহজ কিছু উপায়ে।

 

কীভাবে চুল কার্লি করবেন

ঘরে বসে কার্লি চুল পেতে প্রথমে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুতে হবে। হাতের আঙ্গুল দিয়ে আলতোভাবে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করুন যেন মাথার সব ধরনের ময়লা বেরিয়ে যায়। শ্যাম্পু করা শেষে কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। এরপর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে হালকা করে চুল আঁচড়ে নিন। যেন চুলে জট লেগে না থাকে। এবার একটা তোয়ালে দিয়ে হালকা চেপে বাড়তি পানি মুছে ফেলুন। যেন চুলে ভেজাভাব না থাকে। এবার মাথার মাঝখান থেকে সিঁথি কেটে চুল দুই ভাগ করে নিন। দুই দিকে দুটি বিনুনি বাঁধুন। ডগার অংশ মুড়ে রবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে ফেলুন। ঠিক যতটা চান ততটাই চুল কার্লি করাতে পারবেন। সামান্য ঢেউ খেলানো চাইলে হালকা করে বিনুনি বাঁধুন। বেশি কোঁকড়ানো চাইলে শক্ত করে বিনুনি বাঁধতে হবে। এক্ষেত্রে তিন-চারটে বিনুনি হলে ভালো। বিনুনি বেঁধে কয়েক চার ঘণ্টা থাকতে হবে। বেশি কোঁকড়ানো চুল চাইলে এর চেয়ে বেশি সময় রাখতে পারেন। চুল শুকিয়ে গেলে বিনুনি খুলে দিন। চিরুনির বদলে আঙ্গুল চালিয়ে চুল কার্লি হয়েছে কিনা দেখে নিন। চাইলে রোলারের সাহায্যেও চুলে কার্লি করাতে পারেন।

 

কার্লি চুলের যত্ন

শুরুতেই বলেছি কার্লি বা কোঁকড়ানো চুল সামলানো বেশ ঝামেলার। কিন্তু স্টাইল স্টেটমেন্টে নিজেকে লাবণ্যময়ী দেখাতে একটু যত্ন আত্তি তো করতেই হবে। কোঁকড়ানো চুল ভালোভাবে ধুতে হবে। তবে এ ধরনের চুলের যত্নে পানি ব্যবহার কমিয়ে আনুন। এতে মাথা ও চুলের প্রাকৃতিক রস ঠিক থাকবে। চুলকে শক্তিশালী করার জন্য একটি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা চুলের ঢালস্বরূপ হয়ে থাকবে এবং ঘন ঘন ব্রাশ করা ও হিটিং করার প্রভাব থেকে রক্ষা করবে। এরপরই কন্ডিশনিং। একটি ভালো কন্ডিশনারই পারে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং একে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর রাখতে।

 

কার্লি চুল মসৃণ করতে

এক স্টাইল হয়তো খুব বেশিদিন ভালো নাও লাগতে পারে। কার্লি চুলকে আবার মসৃণ অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কয়েকটি উপায় রয়েছে। আর উপায়গুলো পারলার ছাড়াও ঘরে বসেই সেরে নিতে পারেন। সমপরিমাণ মধু ও বেসনের সঙ্গে সামান্য পানি এবং একটি ডিমের পুরো অংশ লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং করে নিন। মাসে দুবার হেয়ার স্পা ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। তবে চুলের কোঁকড়ানো রোধে হিট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। রিবন্ডিং, রং করাতে চাইলে এক্সপার্টের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

সর্বশেষ খবর