শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঘুমের সমস্যা ও সমাধান

ঘুমের সমস্যা ও সমাধান

ছবি : ইন্টারনেট

ঘুম একটি শারীরিক বৃত্তীয় প্রক্রিয়া। মানসিক দুশ্চিন্তা, স্বল্প  ঘুম ইত্যাদি কারণে স্লিপ ডিজঅর্ডার হয়ে থাকে। তবে, ঘুমের প্যাটার্নের যে কোনো পরিবর্তনই স্লিপ ডিজঅর্ডার নয়...

 

ঘুম না হওয়ার কারণ

সাধারণত মানসিক দুশ্চিন্তা, স্বল্প সময়ের ঘুম ইত্যাদি স্লিপ ডিজঅর্ডারের অন্যতম কারণ। তবে সব সমস্যাই কিন্তু স্লিপ ডিজঅর্ডারের কারণ নয়। একইভাবে ঘুমের প্যাটার্নের যে কোনো পরিবর্তনই কিন্তু স্লিপ ডিজঅর্ডার নয়। যেমন- আপনি গতকাল ২ ঘণ্টা ঘুমোলেন। কিন্তু পরের দিন অন্যদিনের মতই উদ্যমী হয়ে কাজ করছেন। মূলকথা হলো, আপনার দৈনন্দিন কাজের ব্যাঘাত না ঘটলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আবার সারা বছর স্বপ্ন দেখলেন কিন্তু এক রাত স্বপ্ন দেখলেন না। যদি এর প্রভাব আপনার কাজে পড়ে বা দীর্ঘদিন ধরে এরকম হয়, তখনই তা স্লিপ ডিজঅর্ডারের পর্যায়ে পড়ে। অনেক কারণেই ঘুমের সমস্যা হতে পারে। নাইট শিফটে কাজ করেন বা অন্য কোনো কারণে রাত জাগেন, তাদেরও ঘুমের সময়ের ঠিক থাকে না। ফলে সারকেডিয়ান রিদম ঘেঁটে যায়। আবার ওবিসিটির ফলে স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে। শরীরের কোনো অংশে ব্যথা হলেও ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে। স্ট্রেস ছাড়া জীবনযাত্রাও ইনসমনিয়ার জন্য দায়ী। অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও এই সমস্যা হতে পারে। মেয়েদের মাসিক এবং গর্ভধারণের সময়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এ ছাড়া ঘুমের পরিবেশও বড় ফ্যাক্টর। অনেকে টিভি চালিয়ে ঘুমান। আবার অনেকে নাক ডাকা বা যে কোনো শব্দ শুনলেই ঘুমাতে পারেন না। খুব গরম বা ঠাণ্ডা লাগলেও ঘুম হয় না। কিছু কিছু ওষুধ, ব্লাড প্রেশারের ওষুধ বা ইনহেলার অনেক সময় রাতে জাগিয়ে রাখে। দুশ্চিন্তা, হতাশা, নেশা বা আসক্তি ডিজঅর্ডারের মতো সমস্যা থাকলেও স্লিপ ডিজঅর্ডার হয়। ঘুম না হওয়ার ফলে যদি আপনার শারীরিক বা মানসিক সমস্যা হয়, মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটে, তাহলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।

 

চিকিৎসা ও সমাধান

ঘুমের আগে টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইলে কাজ করা বাদ দিন। এসবের পরিবর্তে বই পড়তে পারেন। রাতে ঘুম দুপুরে ঘুমানোর তুলনায় অনেক বেশি জরুরি। চেষ্টা করুন রোজ একই সময়ে ঘুমানোর। সকালে হালকা ব্যায়াম করুন। রোজ খোলা হাওয়া আর সূর্যের আলোর নিচে কিছুক্ষণ কাটানো প্রয়োজন। ক্যাফেন বা অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। পেটপুরে খেয়ে বা খালি পেটে ঘুমোতে যাবেন না। ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতাও আজীবন থেকে যায়। রাত জাগার ফলে ব্লাড সুগার বাড়তে পারে, গ্রোথ হরমোন সিক্রেশন কমতে পারে, ওজন বাড়তে পারে। ফলে, যারা নাইট শিফটে কাজ করেন, তাদের দিনের বেলা এক্সারসাইজ করা প্রয়োজন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খাওয়াদাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। কিছু কিছু ঘুমের ওষুধ হ্যাবিট ফর্মিং। এগুলো আসক্তি জম্মাায়। তাই ডাক্তারের পরামর্শে জেড গ্রুপের ওষুধ খেতে পারেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর