শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

হোমওয়ার্ক করানোর কৌশল

সাইফ ইমন

হোমওয়ার্ক করানোর কৌশল

ছবি : ইন্টারনেট

ঘরের ছোট্ট সোনামণির হোমওয়ার্ক করানো কম ঝক্কির কাজ নয়। তবে ছোট্ট বাবুটির কাছে তার পড়াশোনাকে একটু মজার করে তুলতে পারলে সমস্যা কমে যাবে।

 

আজকাল বেশির ভাগ পরিবারেই বাবা-মা দুজনেই অফিস কিংবা নানা পেশায় ব্যস্ত থাকেন। ফলে সন্তানের পড়াশোনার দিকে নজরদারি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর যদিওবা সামান্য সময় মেলে তাতে সন্তানের পড়াশোনার দিকে নজর দিতে গিয়ে মেজাজ হারান অনেকেই। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ছোটরা ছোটই। হোমওয়ার্কের গুরুত্ব ওদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তবে হোমওয়ার্ককে কঠিন বা গুরুগম্ভীর কোনো বিষয় না করে খেলার ছলে পড়তে উৎসাহ করুন। দেখবেন, সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।

 

♦  আপনার ছোট্ট সোনামণির পড়াশোনায় একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। আর এই সময়ে তাকে পড়তে বসার অভ্যাস করান। আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন প্রতিদিন ওর পড়াশোনায় কিছুটা সময় দিন। তবে তড়িঘড়ি করবেন না। আপনার তাড়াহুড়ো ওর মাঝে দায়সারাভাব তৈরি করতে পারে। ওর পাশে ধৈর্য্য নিয়ে বসুন, এতে ও উৎসাহ পাবে।

♦  ছোটদের পড়াশোনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সঠিক পরিবেশ। পরিবারের ব্যস্ততম ঘরটিতে ওকে হোমওয়ার্ক করাতে বসাবেন না। সোনামণির পড়ার সময় শোরগোল বা আড্ডা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এমনকি ওর পাশে বসে মোবাইলে ব্যস্ত থাকাও ঠিক নয়।

♦  পড়াশোনা এবং হোমওয়ার্ক দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই হোমওয়ার্ক করানোরও নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। সময়সাপেক্ষ হোমওয়ার্কগুলো অর্থাৎ স্কুলের নানা প্রজেক্ট ওয়ার্কের মতো কাজগুলো ছুটির দিনে করান।

♦  প্রতিটি শিশুরই পড়াশোনার একটি বিষয়ে বাড়তি উৎসাহ থাকে। তার প্রিয় বিষয় দিয়ে হোমওয়ার্ক শুরু করুন। তবে অঙ্ক বা বিজ্ঞানের বিষয়গুলো যেহেতু মাথা খাটানোর ব্যাপার থাকে তাই এগুলো আগে সেরে নেওয়াই ভালো।

♦  হোমওয়ার্ক করতে বসানোর আগে ওর পিন্সিল, ইরেজার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিন। এসব জিনিস গুছিয়ে নেওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন।

♦  হোমওয়ার্কের মাঝে আপনার সন্তানকে কিছুটা সময় হলেও বিরতি দিন। তবে এ সময় টিভি দেখতে বা গেম খেলতে উৎসা দেবেন না।

♦   এ সময় সন্তান কোনো কিছু না পারলে বা কোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনি তাকে গাইড করুন। তবে সরাসরি উত্তর দেবেন না। ওর শেখার প্রবণতা কমে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর