সৌন্দর্যচর্চায় আধুনিক প্রসাধনী তো একেলে। কিন্তু বেশ কয়েক দশক আগে শীতকালের ক্যানভাস ঘাটলে দেখবেন নানী-দাদিরা ত্বকচর্চায় সরিষার তেলের ওপর ভরসা করতেন। শুধু কি তাই! চুলের সৌন্দর্যেও এই তেলের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে। সরিষার তেলে কী কী উপকার হয় এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন, এ বিষয়ে জেনে নিন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে
গ্রামাঞ্চলে এখনো অনেকে গোসলের আগে শরীরে এই তেল মালিশ করেন। এই তেল দেহের তাপমাত্রা কমিয়ে দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিন ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের অভ্যন্তর থেকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। সরিষার তেলের সঙ্গে বেসন, টকদই ও লেবুর রস মিশিয়ে বডি প্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ত্বকের রুক্ষতা দূর করে
অতিরিক্ত রুক্ষ ত্বক শীতের অন্যতম সমস্যা, যা সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে। তাই কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল নিয়ে মুখে মালিশ করে নিন। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে এটি দারুণ।
শীতে ঠোঁটের যত্নে
শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা কমাতে সরিষার তেল দারুণ। তাই পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিপ বাম যদি ঠিকমতো কাজে না আসে তাহলে সরিষার তেল আঙ্গুল চুবিয়ে সামান্য ঠোঁটে লাগিয়ে দিন। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে।
রোদ থেকে সুরক্ষা
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই থাকায় রোদের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে বাঁচাতে দারুণ কার্যকরী। তাই বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন লোশনের প্রতি গুরুত্ব কমিয়ে আজ থেকেই সরিষার তেল মুখ ও ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করুন।
চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে
শীতে নিয়মিত চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করলে খুশকি, তালুর সমস্যা ও চুল পড়া রোধ করা সহজ হবে। সরিষার তেল হালকা গরম করে চুলে ব্যবহার করুন এবং মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুল থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্ব¡ল ও ঝলমলে।
চুল পাকা প্রতিরোধ
সরিষার তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপার্টিজ থাকায় চুল পাকা প্রতিরোধে এটি দারুণ। প্রতিদিন সমপরিমাণ অলিভ অয়েল ও সরিষার তেল নিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। শাওয়ার ক্যাপ মাথায় দিয়ে অন্তত আধা ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। তাহলেই দেখবেন চুল পাকার হার তো কমবেই, সেই সঙ্গে নানা ধরনের সংক্রমণ ও খুশকির আশঙ্কাও দূর হবে।