শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মেঝের সাজে কার্পেট

কুয়াশার চাদরে ঢাকা গোটা দেশ। হিমেল পরশ লেগেছে শহুরে জীবনে। তাই বাড়ছে মেঝেতে কার্পেটের ব্যবহারও।

নূরজাহান জেবিন

মেঝের সাজে কার্পেট

শীত এলে গৃহসজ্জায়ও খানিকটা বদল আসে। সারা বছর খালি মেঝেতে কাটালেও শীতে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে অন্দরের জমিনে ব্যবহৃত হয় রংবাহারি কার্পেট। গৃহের সাজে ভিন্নতা আনার পাশাপাশি কার্পেট অন্দরের আভিজাত্যও ফুটিয়ে তোলে।

 

আমাদের দেশে কার্পেট ব্যবহার হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকেই। ভারতীয় উপমহাদেশে সম্রাট আকবরের সময় থেকে গৃহসজ্জায় কার্পেট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কালের বিবর্তনে কার্পেটের জমিনেও লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া।

 

রকমফের কার্পেট

আমাদের দেশে রকমফের বাহারি কার্পেটের ছড়াছড়ি। কোনোটা তৈরি হয় নাইলনে আবার কোনোটা পলিয়েস্টারে। আরামপ্রিয় মানুষের পছন্দ উল কিংবা মখমলের কার্পেট। তবে আমাদের দেশীয় বাজারে সর্বাধিক জনপ্রিয় পাটের তৈরি কার্পেট। রয়েছে পলিপ্রপিলেন, ওলফিন ও সিসালের কার্পেটও। শৌখিন মানুষেরা গৃহসজ্জায় কার্পেটের পাশাপাশি নকশিকাঁথা বা শতরঞ্জি ব্যবহার করে থাকেন।

 

বর্তমানে কার্পেট শুধু ঘরের মেঝেতেই ব্যবহৃত হচ্ছে না, রান্নাঘর কিংবা বাথরুমেও ব্যবহৃত হচ্ছে রাবারের তৈরি রংবাহারি সব কার্পেট।

 

কোন ঘরে কেমন কার্পেট

শুধু ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতেই নয়, সৌন্দর্যের বিষয়টি মাথায় রেখে বাড়ি বা অফিসে কার্পেট ব্যবহার করা হয়। তবে কার্পেট নির্বাচনে সতর্ক থাকা উচিত। বসার ঘর ছোট হলে ঘরজুড়ে থাকে এমন কার্পেট বেছে নিন। ঠিক একইভাবে বিশাল হলে ছোট কার্পেট বিছিয়ে দিন। আড্ডা কিংবা বসার ঘরটিতে হালকা এবং নকশিদার কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভব হলে উলের কার্পেট ব্যবহার করুন। আড্ডা জমবে। শোবার ঘরের কার্পেট হিসেবে হালকা কিংবা গাঢ় সবুজ, নীল এবং অন্য কোনো হালকা রঙের কার্পেট ব্যবহার করতে পরেন। তবে ঘরজুড়ে কার্পেটিং না করে শুধু খাটের পাশে ছোট বা ডিম্বাকৃতি অথবা গোল কার্পেট বিছিয়ে দিতে পারেন। শোবার ঘরে বিছানার চাদর ও পর্দার রঙের সঙ্গে মিল রেখেও কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। তবে আর খাবার ঘরে কিছুটা কালচে রঙের কার্পেট ব্যবহার করাই ভালো। ময়লা হলেও খুব একটা বোঝা যাবে না। পড়ার ঘরের কার্পেট যে কোনো রঙেই মানিয়ে যায়, এক্ষেত্রে নকশাকে প্রাধান্য দিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর