শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিষণ্নতা ঝেড়ে ফেলুন

বিষণ্নতা ঝেড়ে ফেলুন

♦ মডেল : ফাতেমা মীম ♦ ছবি : নেওয়াজ রাহুল

বিশেষ কোনো কারণ নেই, তবু মনের আকাশ ঘোলাটে। কিছু ভালো লাগছে না। আবেগের অনেকটা ঘাটতি নিজেই টের পাচ্ছেন। বরং অকারণেই মেজাজ খিটখিটে। অন্যের ওপর  রাগ ঝেড়ে নিজেকে হালকা করছেন, তাও না। কোথাও কিছু হারাল, কোথাও কিছু লুকালো কিংবা আপনাকে ছেড়ে পালাল- এমন অনুভূতিতে আপনি একদম বিষণ্ন। আর এই বিষণ্ন ভাব যে কারও জন্য ক্ষতিকর। দিনের পর বিষণ্নতা ঘিরে থাকলে মন যেমন খারাপ হবে, সেই খারাপ ভর করবে শরীরেও। এমন বাজে রকমের পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বের করতে পারেন আপনি নিজেই। শারীরিক কর্মকাণ্ড, জীবনযাপন পদ্ধতি, এমনকি চিন্তার কিছু নিয়ন্ত্রণই বিষণ্নতা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়।

বিষণ্নতা দূর করতে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে অনেকে ভুল করেন,  এ সময় বেশি বেশি খাবার খান। তখন দেখা যায়, অনাকাক্সিক্ষতভাবে মুটিয়ে যাচ্ছেন। তাই এ সময় মন ভালো করতে অযথা খাবারের প্রাধান্য দেওয়া ঠিক হবে না। বরং পরিমিত খাবারই আপনাকে সুস্থ হতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার বিষণ্নতা কমাতে খুবই কার্যকর। এ ছাড়াও মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম-

 

পর্যাপ্ত ঘুম : বিষণ্নতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো অপর্যাপ্ত ঘুম। ঘুমে বিঘ্ন ঘটলে শুধু আমরা শারীরিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হই না, এটি তৈরি করে মানসিক অবসাদ এবং বিষণ্নতা। পরিস্থিতি এড়াতে একজন পরিণত বয়সের মানুষকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

হাসি : মনের রূঢ় ও গুমোট ভাব কাটাতে হাসির বিকল্প নেই। বিষণ্নতা দূর করার অন্যতম উপায় প্রাণখোলা হাসি। তাই বিষণ্নতা দূর করতে সব সময় হাসিখুশি থাকুন। কষ্টকে পাশ কাটিয়ে অথবা কষ্টের কথা বার বার মনে না রেখে হাসিকে করুন সঙ্গী। মানুষের জীবনে কষ্ট থাকবেই, কাজেই হাসুন, বিষণ্নতাকে দূর করুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ : এক গবেষণায় দেখা গেছে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশে বিষণ্নতা কমে। তাই কেউ আপনাকে সহযোগিতা করলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

পরিপাটি থাকুন : যারা বেশি অগোছালো, তাদের বিষণ্নতা বেশি হয়। সেটা হতে পারে কর্মক্ষেত্রে, হতে পারে নিজের বাসায়। তাই সব কিছু সাজানো-গোছানো রাখতে চেষ্টা করুন। চারপাশে তাকালেও মন প্রফুল্ল হয়ে উঠবে।

ধ্যান করুন : নিয়ম করে ধ্যান করলে বিষণ্নতা কমে যায়। গবেষকরা বলেন, ধ্যান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, চিন্তা দূর করে। দীর্ঘশ্বাস নেওয়ার অভ্যাসও এক্ষেত্রে দারুণ কাজে আসে।

সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন : আপনার সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করুন। তবে অবশ্যই সেটা দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে। আজ থেকে ৫ বছর পরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান এবং  সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে কী করা উচিত, সেগুলো নিয়ে ভাবুন।

ক্রীড়া অনুরাগী হোন : কাজের ফাঁকে কিছু সময় বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে পারেন। তবে আপনার পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোও উত্তর সিদ্ধান্ত হতে পারে, বিষণ্নতা আপনার কাছে আসবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর