ঘন ঘন হেয়ার স্টাইল, নিত্যনতুন হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার এবং চুলের সঠিক পরিচর্চা না করার কারণে চুলে জট লাগার মতো সমস্যা দেখা দেয়। হেয়ার স্টাইলিংয়ের পর ভলিউমের জন্য চুল টিজ বা পাফ করে নেওয়ার কারণেও চুলে জট তৈরি হয়। বিশেষত পারলারে চুল স্টাইলিংয়ের পর চুলসজ্জা খুলে নিতে পোহাতে হয় নানা ঝক্কি। এ ছাড়া গোসলের পর চুলে জট লাগার কারণ কিন্তু পানি! আসলে আমাদের চুল মূলত কেরোটিন নামক শক্ত প্রোটিন দিয়ে তৈরি। যার পিএইচ মাত্রা ৫.৫। পানির পিএইচ মাত্রা থাকে ৭, যা চুলের ক্ষতির কারণ। আর চুলের জট ছাড়াতে গিয়ে তৈরি হয় নানা সমস্যা। চুল ছিঁড়ে যায়, ফেটে যায় আর সব শেষে হাতের মুঠোয় একরাশ চুল এসে জমে। অনেকে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চুল কেটেও ফেলেন। তাই বলে কি স্টাইলিং চলবে না! চলবে, সঙ্গে জেনে নিন চুল জটমুক্ত করার কৌশল।

চুল জটমুক্ত করার কার্যকর উপাদান কন্ডিশনার। তবে চুলের পানি ভালোভাবে নিংড়ে নেওয়াটা জরুরি। এতে কন্ডিশনার চুলে গাঢ়ভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং এটি ভালোভাবে কাজ করে। শ্যাম্পু করার পর চুল আঁচড়ানোর আগে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন।

নিয়মিত তেল লাগান

নিয়মিত চুলে তেল লাগানোর চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে আগে তেল হালকা গরম করে নিন। এরপর শাওয়ার ক্যাপ বা উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন অন্তত গোসলের আগ পর্যন্ত।

জট ছাড়াতে আঙ্গুল ব্যবহার

জট ছাড়াতে শুরুতেই চিরুনি বা ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। আঙ্গুল দিয়ে জট ছাড়ানোর পর চিরুনি ব্যবহার করুন। আর হ্যাঁ, জট ছাড়ানোর ক্ষেত্রে নিচের দিক থেকে শুরু করুন।

বড় দাঁড়ার চিরুনি

বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর অভ্যেস করুন। চিরুনি দিয়ে চুলের ডগার দিক থেকে জট ছাড়ানো শুরু করুন। এ কাজে প্রশস্ত দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করতে হয়। কাঠের চিরুনি এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ দেয়।

নিয়মিত চুলের আগা ছাঁটুন

চুলের আগা নিয়মিত ছেঁটে রাখলে জট কম পড়ে। চুলের আগা ফেটে গেলে জট ধরে বেশি। তাই চুলের আগা ছেঁটে দিলে আগা ফাটা ও জট লাগা দুটোই সামলানো যায় একসঙ্গে। চুলে জট লাগানো এড়াতে ছেড়ে রাখুন।