শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সাধ ও সাধ্যের অন্দর

অল্প দামের আসবাব দিয়েও ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায় অনায়াসেই। সাধ্য আর স্বপ্নের মিশেলে ঘরটা সাজানোর কৌশলটা জানা থাকা প্রয়োজন

সাইফ ইমন

সাধ ও সাধ্যের অন্দর

দামি পেইন্টিং আর আসবাব ছাড়া ঘরের  সৌন্দর্য হয়তো বৃদ্ধি করা যায় না। এমন একটা ধারণা কিন্তু সবারই আছে। যা মোটেই ঠিক নয়। অল্প দামের আসবাব দিয়েও ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায় অনায়াসেই। সাধ্য আর স্বপ্নের মিশেলে যদি ঘরটা সাজানোর কৌশলটা জেনে নেওয়া যায় তাহলে কেমন হয়। নিশ্চয়ই মন্দ নয়। ঘর কিংবা দেয়াল যেখানেই প্রয়োজন বসিয়ে নিতে পার পছন্দের পার্টিশন। ব্যবহার এবং সৌন্দর্য দুটোই বাড়বে। বর্তমানে বাজারে বাঁশ, বেত, কাঠ, প্লাস্টিক, কাচ, ঝিনুক, কড়ি, আর পাটের তৈরি সুদৃশ্য পার্টিশন পাওয়া। আবার সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয় যে ঘরটিতে তা হলো বসার ঘর। কেননা অতিথি এলে প্রথমে তো এ ঘরেই পা দেন। তাই এ ঘরের সাজসজ্জায় একটু বেশি মনোযোগী না হওয়ার উপায় নেই। ঘর সাজাবেন মনের মতো করে, তবে সাজানোর আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে হয়তো বসার ঘরটি পাবে বাড়তি মাত্রা। পরিচ্ছন্নতা সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে। অনুষঙ্গের আধিক্য একেবারেই রাখবেন না। বসার ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে আমরা যে ভুলটা প্রায়ই করে থাকি, সেটা হচ্ছে অধিক অনুষঙ্গের ব্যবহার। কেননা ঘর সাজানোর সময় মনে রাখবেন ঠিক যতটা না হলেই নয়, এর বাইরের আসবাব কিংবা সাজানোর অনুষঙ্গ না রাখাই ভালো। ঘরে একটু ফাঁকা স্থান থাকা ভালো। একটু খোলামেলা ভাব চোখে স্বস্তি এনে দেবে। ঘরের সাজে বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে কয়েক মাস পর পরই সাজ বদলে ফেলুন। একই রকম সাজ একঘেয়ে হয়ে উঠতে পারে।

অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ঘরের আসবাব  যেন দেয়ালঘেঁষা না হয়। কারণ সব আসবাব যদি দেয়ালঘেঁষা হয়, তাহলে ঘরের লুক হয়ে যাবে পুরোপুরিই ফরমাল। তাই একটু সহজ ও ফুরফুরেভাব তুলে ধরতে দেয়ালের সামনে আসবাব না রাখাই ভালো। আবার সঠিক জায়গায় আসবাবটি না রাখলে সাধ আর স্বপ্নের ঘরটি সুন্দরভাবে সাজানো সম্ভব হয় না। তাই ঘর সাজানোর জন্য ঘরের আসবাবগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে। আর যদি ঘরে শিশু থাকে, তাহলে তাদের জন্য আলাদা ফাঁকা জায়গা রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে ঘরটি আরও পরিপাটি হয়ে উঠবে। আর সেই জন্য প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো অপ্রয়োজনীয় জিনিস ঘরে রাখা যাবে না। এগুলো জায়গা দখল করে। অনেক সময় বাচ্চাদের খেলনা ফ্লোরে পড়ে থাকে। এগুলো স্মৃতি হিসেবে রাখতে না চাইলে কাউকে দান করে দিতে পারেন। একটি বাক্সে খেলনাগুলো গুছিয়ে রাখলে ঘর পরিষ্কার দেখাবে।

ঘরকে প্রাণবন্ত করতে এয়ারফ্রেশনার ব্যবহার করা উচিত। এতে মন সতেজ হবে, ঘরও হবে সুগন্ধময়। কম খরচে ঘর সাজাতে ফুলের বিকল্প নেই। ঘরে ফুল রাখলে প্রশান্তি বিরাজ করছে ঘরে এবং মনে। একগুচ্ছ তাজা ফুল ঘরের উজ্জ্বলতাও বাড়িয়ে দিবে।

আবার এক রং দিয়ে সব দেয়ালে না সাজিয়ে মনের মতো করে রাঙাতে পার বিভিন্ন রঙে। বিভিন্ন রং দিয়ে দেয়ালে নকশাও এঁকে নিতে পার। এতে ঘরের দেয়ালটি হবে দৃষ্টিনন্দন। ঘরে শৈল্পিক ছোঁয়া দিতে চাইলে দেয়ালে পেইন্টিং ঝোলাতে পারেন। কম খরচেই এসব পেইন্টিং এখন কিনতে পারা যায় বিভিন্ন শপিংমলে। আবার ফটোগ্রাফ দিয়েও ঘর সাজানো যেতে পারে। ঘরে আয়নাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারেন।

কারণ উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করে আয়না লাগালে তা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে  যেখানে-সেখানে আয়না লাগানো একেবারেই ঠিত হবে না। বসার ঘরে যেহেতু অতিথিদের সমাগম বেশি হয় তাই সেখানে সাজানোর জন্য আয়না ব্যবহার করা যেতে পারে। আলোয় আলোকিত ঘর পেতে চাইলে বিভিন্ন রকমের বাতি দিয়ে সাজিয়ে নেওয়া যায়। আবার খাবার টেবিলের ওপর শেড দেওয়া বাতিতে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর