মেকআপ হলো ঠিকঠাক, কিন্তু ত্বকের রুক্ষ ভাব গেল না! কিংবা রয়ে গেল গালের বিচ্ছিরি দাগগুলোও! নো টেনশন, প্রয়োজন জাস্ট একটুখানি ম্যাজিক। আর সেই ম্যাজিকের কাজটি করবে গোলাপজল। কেননা, গোলাপজলের গুণাগুণ সম্পর্কে সবারই জানা। রানি ক্লিওপেট্রা থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের অসংখ্য রূপসচেতন নারীও গোলাপের ম্যাজিকে বুঁদ হয়ে আছেন। দেখে নেওয়া যাক ত্বকের সুস্থতায় গোলাপের ব্যবহার।
ব্রণমুক্ত ত্বকের জন্য
তেলতেলে ত্বক মানেই ব্রণের সমস্যা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বা দিনের বেলা যেকোনও সময় মুখে গোলাপজল লাগিয়ে নিতে পারেন। গোলাপজল ব্রণের জেদি দাগকেও হার মানিয়ে গায়েব করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ‘তেলেতেলে ত্বকের গোলাপজল সর্বাধিক উপকারী টোনার।’
রুক্ষ ত্বকের দাওয়াই
শীতকালে ত্বকের রুক্ষতায় নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল। এটি খসখসে, অমসৃণ ত্বকের দাওয়াই। কটন বলে গোলাপজল লাগিয়ে সেটা মুখে ভালো করে মাখিয়ে নিন। সপ্তাহখানেক ব্যবহারেই ম্যাজিক পরখ করতে পারবেন।
ফেসপ্যাকে ম্যাজিকাল গোলাপজল
যে কোনো ফেসপ্যাকে স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারবেন গোলাপজল। খুব বেশি নয়, মাত্র কয়েক ফোঁটা গোলাপজলই যথেষ্ট। গোলাপজল ত্বককে মসৃণ আর উজ্জ্বল করে তোলে।
মেকআপ রিমুভার
গোলাপজল প্রাকৃতিক টোনার তো বটেই; মেকআপ রিমুভার হিসেবেও দারুন কার্যকর। বাইরে থেকে এসে মুখ পরিষ্কার করার জন্যও গোলাপজলের চেয়ে বেস্ট অপশন আর নেই।
চুলের বেস্ট ফ্রেন্ড!
চুলে গোলাপজল! হ্যা সত্যিই; চুলে যদি খুশকির সমস্যা থাকে তাহলে নিশ্চিন্তে ট্রাই করতে পারেন গোলাপজল। এটি চুলের প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ। নারিকেল তেল ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। দেখবেন কয়েকদিনেই খুশকি ভ্যানিশ।
