ইদানীং অনেক পরিবারই তাদের ছেলে ও মেয়েকে বিয়ের আগে একটা সুযোগ করে দেয়, যাতে তারা একজন আরেকজনের সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে বা বুঝতে পারে। এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

► বিয়ের আগে দুজন দুজনকে ভালো করে চিনতে হবে, বুঝতে হবে। দুটি পরিবার সম্পর্কেও খোঁজখবর নিতে হবে সম্বন্ধ পাকাপাকি করার আগে। কেননা, সারা জীবন একই ছাদের নিচে বাস করা বা সংসার করার জন্য একজন আরেকজনকে বুঝতে বা চিনতে পারার বিষয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

► যাকে নিয়ে সারা জীবন কাটাবেন সে আপনার জন্য কতটা উপযুক্ত তা ভালোভাবে যাচাই করা উচিত। তাড়াহুড়ো বশত কিংবা হেয়ালিপনার কারণে একটি ভুল সারাজীবনের মাশুল যেন না হয়। সংসার যেহেতু দুজনকেই করতে হবে, তাই দুজনের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা সেরে নেওয়া বা বোঝাপড়া করে নেওয়াটা ভীষণ জরুরি।

► বিয়ে মানেই খরচ। আর এটা চলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। অনেকেই বিয়ের জাঁকজমক অনুষ্ঠানে বেশ টাকা খরচ করে থাকে। সামর্থ্যরে বাইরে গিয়ে খরচ না করে নির্দিষ্ট একটি প্ল্যান নিয়ে এগিয়ে চলা উচিত।

► অনেকের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নের সিঁড়ির ধাপে ধাপে এগোনোর শেষেই চলে আসে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে নেওয়া। বিয়ে মানে যেহেতু একটি মেয়ের দায়িত্ব তার নিজের পরিবার থেকে নতুন একটি মানুষের ওপর চলে আসা। তাই সেই মেয়ের ভরণপোষণের কাজটি মেয়েটির জীবনে আসা নতুন মানুষের কর্তব্যের মধ্যেই চলে আসে। কাজেই বিয়ের যথেষ্ট সময় আগে থেকে ছেলেকে এসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

► বিয়ে করবেন, তবে হুট করে অবশ্যই নয়। বিয়ে করার আগে অবশ্যই সবকিছু প্ল্যান থাকা উচিত। আর এটাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। প্ল্যান করে করলে কোনো কাজই বিফল হয় না অর্থাৎ যে কোনো কাজই সফলতার মুখ দেখে। বিয়েটাও তাই। প্ল্যান কর আগে থেকেই। দেখবেন, বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের পরবর্তী সময়গুলোতে কোনো সমস্যা বা বাধা আসবে না। বিয়ের আগে থেকেই যদি আপনি বিয়ে কিংবা বিয়ের পরবর্তী দায়িত্বগুলো নিয়ে আপনার ভাবনা এবং সঠিক প্ল্যান থাকে তবে ভবিষ্যতে সুখ ও সফলতা আসবেই। সুন্দর সুখময় সংসার হবে দুজনের মধ্যে।