শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ড্যামেজড স্কিন কেয়ার

ড্যামেজড স্কিন কেয়ার

মডেল: সানজিদা সানজু

►মাইল্ড সোপ স্কিনের সারফেস অয়েল রিমুভ করে স্কিনকে ফ্রেশ রাখবে।
► ভিটামিন ই সমৃদ্ধ অয়েল দিয়ে ফেসিয়াল ম্যাসাজে ত্বক ফিরে পাবে উজ্জ্বলতা।
► বিউটি ক্লিনিকগুলো ড্যামেজড স্কিনে নানা রকম পিলিং মাইব্রোডার্মাব্রেশন ব্যবহার করে।

 

স্কিন কেয়ার করা কি চাট্টিখানি কথা! মুখ পরিষ্কার রাখা, নিয়মিত স্ক্রাব ব্যবহার করা! আরও কত কী? তবেই তো ফিরবে ড্যামেজড স্কিন। আসলে শরীরের যেমন বিভিন্ন কাজ করতে সময়ে সময়ে খাবারের দরকার হয়, তেমনই স্কিনও সুন্দর এবং সুস্থ থাকার জন্য খাবার, অর্থাৎ পুষ্টির প্রয়োজন। সঙ্গে প্রয়োজন কসমোলজিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী স্কিন ট্রিটমেন্ট।

 

কসমোলজিস্টদের মতে, ড্যামেজড স্কিনের ট্রিটমেন্ট এর আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো স্কিন বা ত্বক ঠিক কীভাবে ড্যামেজড হয়েছে তার কারণ খুঁজে বের করা। আর সেভাবেই পার্লার ট্রিটমেন্ট বা ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট শুরু করতে হবে। আমাদের স্কিন কী কী কারণে ড্যামেজড হয়ে থাকে। আমাদের বেশিরভাগ মানুষই ভুলভাল প্রসাধনী (ভেজাল) ব্যবহার করার পর ড্যামেজড স্কিনের শিকার হন। বাইরের পলিউশন সেই প্রসাধনকে ড্যামেজড স্কিনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন জটিল রোগে ভোগা, সঠিক খাবার ও সময়মতো খাবার গ্রহণ না করা, ঘুমের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত গরম (হিট) বা অতিরিক্ত শীতল পরিবেশে কাজ করতে থাকলে স্কিন ড্যামেজড হয়ে পড়ে। এখন নিশ্চই আপনার জানতে ইচ্ছে করছে ড্যামেজড স্কিন দেখতে কেমন? সাধারণত রুগ্ন, শুষ্ক, ব্রণ বা র‌্যাশ,  লাবণ্যহীনতা ইত্যাদি ড্যামেজড স্কিনের লক্ষণ বা উপস্বর্গ হিসেবে দেখা দিয়ে থাকে।

 

এখন শুধু পার্লার ট্রিটমেন্ট বা স্কিন কেয়ার করার সঙ্গে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সঠিক রুটিন মেইনটেইন সব সমস্যার প্রধান সমাধান। ড্যামেজড স্কিন কেয়ারে সাধারণত বিউটি ক্লিনিকগুলো নানা রকম পিলিং মাইব্রোডার্মাব্রেশন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি বিউটি ক্লিনিকগুলো তাদের হোম কেয়ার হিসেবে সঙ্গে দেওয়া হয় নানা টিপস। তবে বাড়িতে কীভাবে যত্ন করবেন বা কী কী কসমেটিক ব্যবহার করবেন তা একজন দক্ষ কসমেটোলোজিককে দেখিয়ে ঠিক করে নেওয়াই ভালো। ড্যামেজড স্কিন সারানোর জন্য মেটিকেটেড সোপ (মাইল্ড সোপ) বা ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। এটি স্কিনের সারফেস  অয়েল রিমুভ করে আপনার স্কিনকে ফ্রেশ রাখবে। ড্যামেজড স্কিনে পিম্পল বা ব্রণ এমনকি র‌্যাশ দেখা দিলে চন্দন বাটা সারারাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। পাশাপাশি স্যালাইসিলিক অ্যাসিভ সমৃদ্ধ ক্রিম লাগাতে পারেন। এটি ড্যামেজড স্কিনকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। স্কিনে টানভাব দেখা যাবে। মাঝে মাঝে ক্লেমাক্সও ট্রাই করে দেখতে পারেন। খুব ঠাণ্ডা বা গরম পানি দিয়ে মুখ ধোবেন না। স্কিন পরিষ্কার করার পর ভালো করে পানি দিয়ে মুখ ধোবেন। বিশেষ করে ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির হলে মুখ ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। ত্বক শুষ্ক ধরনের হলে অ্যালোভেরা, লেবু সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করবেন না।

 

রূপচর্চার লম্বা লিস্ট পড়ে ঘাবড়ে যাবেন না। জানি, অনেকের পক্ষেই হয়তো এতটা সময় ধরে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব নয়। ভাববেন না যে তাঁদের জন্য কোনো টিপসই নেই। এবারে শুধু তাঁদের কথাই বলব। ধরুন যারা প্রতিদিন এতটা সময় দিতে না পারলেও ব্যস্ত রুটিন থেকে অন্তত ১০ মিনিট বের করতে পারবেন, তাদের জন্য আদর্শ হলো অয়েল ম্যাসাজ। ড্যামেজড স্কিনের গ্লো ফিরিয়ে আনতে এটি মোক্ষম দাওয়াই। এক্ষেত্রে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ অয়েল, জোজোবা অয়েল, আমন্ড অয়েল ইত্যাদি স্কিন ম্যাসাজের জন্য আদর্শ। প্রতিদিন মোটামুটি ১০ মিনিট ফেসিয়াল ম্যাসাজ করলেই দেখবেন ত্বক আগের থেকে অনেক বেশি কোমল এবং মসৃণ দেখাবে। সম্ভব হলে বিউটি পার্লারের ফেসিয়াল ম্যাসাজ করাতে পারেন। এটাও খুব ভালো এবং সহজ পদ্ধতি। এতে ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে ত্বক অনেক বেশি প্রাণবন্ত এবং জেল্লাদার দেখাবে।

 

শোভন সাহা

কসমোলজিস্ট, শোভন মেকওভার

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর