ঋতুচক্রে ঘুরেফিরে গরম পড়তে শুরু করেছে। এমন সময় ত্বক সজীব রাখতে প্রতিদিন পাঁচ মিনিটই যথেষ্ট। রাতে ঘুমানোর আগে এই পাঁচ মিনিট ব্যয় করলে খুব বেশি ক্ষতি হবে না। ফলাফল হিসেবে পাবেন প্রাণবন্ত ত্বক। আর এই বিশেষ রুটিনে দাওয়া হিসেবে রাখুন মৌসুমি ফল এবং ঘরে থাকা ভেষজ উপাদান ইত্যাদি।
► তরমুজের রসের সঙ্গে দুই ফোঁটা মধু, শুষ্কতা কাটাতে এতটুকুই যথেষ্ট। তৈলাক্ত ত্বক হলে মধুর বদলে নিতে পারেন লেবুর রস।
► ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বাঙ্গির জুড়ি নেই। ত্বকের তৈলাক্ততা কাটাতে বাঙ্গির পেস্টের সঙ্গে টক দই যোগ করে নিতে পারেন।
► অনেকেই রূপচর্চায় মাল্টা বা কমলার শাঁস ব্যবহার করেন। শুষ্ক ত্বকে কমলা, লেবু বা মাল্টা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এর পরিবর্তে বেছে নিন ডাবের পানি।
► ডাবের কঁচি শাঁসের সঙ্গে কাঁচা দুধ আর মধু মেশানো প্যাক অ্যান্টি এজিং হিসেবে বেস্ট। এটি ত্বকে বয়সের ছাপ এবং বলিরেখা কমায়।
► ঘুমানোর আগে আলুর স্লাইস গালে, চোখে দিয়ে শুয়ে থাকলে যে প্রশান্তি পাবেন। সম্ভব হলে আলু পেস্ট করে সঙ্গে টক দই বা মধু মিশিয়ে নিন।
► টমেটো ও গাজরের রসের বিটা ক্যারোটিন মুখের সজীবতা ফিরিয়ে আনতে রাতারাতি কাজ করবে। আর কিনজার হিসেবে শসার রস ও মধুর মিশ্রণের গুণের কথা তো জানেন সবাই।
প্রতিদিনের টিপস...
► প্রতিদিন শরবত খাওয়া ভালো। কমলা, কাঁচা আম বা লেবুর ফলের শরবত খেতে পারেন।
► টক-মিষ্টি ফল মিশিয়ে তৈরি সালাদ রুচি বাড়ায়। পুষ্টিও নিশ্চিত করে।
► রাতে এক কাপ দুধ বা রায়তা খাওয়ার চেষ্টা করুন। দুটিই ত্বক ভালো রাখতে কাজ করে।
► শরীরে মিনারেল জোগাতে খেজুর খুব ভালো উৎস। প্রতিদিন দুই-একটা খেজুর শরীরকে সতেজ রাখবে সারা দিন।
► যে কোনো বেলায় একটা সবজির উপকরণ থাকা চাই। ডাল দিয়ে রান্না করা শাক বা সবজিও পুষ্টি ও পানির ভালো উৎস।
► প্রতিদিনের হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক মানেই সুস্থ ত্বক। যা-ই খাবেন, শুধু একটি বিষয় খেয়াল রাখুন যেন হজমে ব্যাঘাত না ঘটে।