শিরোনাম
৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৩:১৬

শীতকালীন সবজি মুলার গুণাগুণ

অনলাইন ডেস্ক

শীতকালীন সবজি মুলার গুণাগুণ

মুলা এক প্রকার শীতকালীন সবজি। এর পাতা শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মুলা তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়, সালাদেও এর ব্যবহার হয়। মুলা শুধু পুষ্টি পূরণ করে না, শরীরে রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। 

কার্যকর উপাদান : 

প্রতি ১০০ গ্রাম মুলায় আছে ০.৭ গ্রাম আমিষ, ৩.৪ গ্রাম শর্করা, ০.৮ মিলিগ্রাম আঁশ, ০.১ মিলিগ্রাম চর্বি, ১৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ৩৫ কিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২২ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৪ মিলিগ্রাম লৌহ ও ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’। 

মুলার গুণ : 

- মুলার কার্যকর জৈবিক উপাদানগুলো হজমশক্তি বৃদ্ধি, মূত্রজ্বালা, মূত্রকৃচ্ছ্রতা দূর করে ও মূত্রবর্ধনের কাজ করে। 

- জন্ডিসের চিকিৎসায় মুলার ভূমিকা অপরিসীম। এর শক্তিশালী উপাদানগুলো পাকস্থলী ও যকৃতের ক্ষতিকারক উপাদানগুলো শরীর থেকে বের করে দেয়। মুলা বিলিরুবিনের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

- ওজন কমাতে সাহায্য করে মুলা। খুব কম ক্যালরি থাকায় মুলা পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেললেও শরীরে চর্বি জমার আশঙ্কা থাকে না। আর মুলায় উপস্থি আঁশ বিপাকীয় কার্যক্রমে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। 

- সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেই পাইলস রোগের উৎপত্তি।  নিয়মিত মুলা খেলে পাইলস হওয়ার প্রবণতা কমে যায় অনেকটা।

- মুলায় রয়েছে ভিটামিন-বি, জিংক, ফসফরাস এবং ভিটামিন-সি যা ত্বকের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। মুলায় থাকা পানির কারণে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। 

সতর্কতা: 

যারা উচ্চমাত্রায় গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত মুলা খাবেন না। এছাড়া যারা হইপো থাইরয়েডিজমে আক্রান্ত, তাদের পক্ষে মুলা না খাওয়াই ভালো। 


বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

সর্বশেষ খবর