১৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ২১:৪০

অবশেষে 'অ্যাপেন্ডিক্স' রহস্যের সমাধান!

অনলাইন ডেস্ক


অবশেষে 'অ্যাপেন্ডিক্স' রহস্যের সমাধান!

ফাইল ছবি

মানুষের দেহে যে অ্যাপেন্ডিক্স নামের ছোট, পাতলা টিউবের মতো যে অঙ্গটি পেটের ভেতরের দীর্ঘ অন্ত্রের সঙ্গে জুড়ে থাকে তার উদ্দেশ্য এতদিন রহস্যে ঘেরা ছিল। অবশেষে সেই রহস্যের সমাধান করলেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, অ্যাপেন্ডিক্স ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে ৩০ বার বিবর্তিত হয়েছে। আর প্রথম সৃষ্টি হওয়ার পর এটি আর এর বিবর্তনীয় ধারা থেকে হারিয়ে যায়নি।

এটিকে অনেক সময় একটি উদ্দেশ্যহীন অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এটি উপকারি ব্যাক্টেরিয়ার আধার হিসেবেও কাজ করতে পারে। এমনটাই দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের মিডওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। 

সহযোগী অধ্যাপক হিদার স্মিথ তাদের অ্যাপেন্ডিক্স এর বিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে ৫৩৩টি স্তন্যপায়ী প্রাণির অন্ত্র এবং পরিবেশগত বৈশিষ্ট পর্যবেক্ষণ করেন। প্রাইমেট, ওমব্যাট এবং র্যাবিটসহ কিছু প্রাণির দেহে অ্যাডেন্ডিক্স আছে। কিন্তু কুকুর এবং বিড়ালের মতো প্রাণিদের দেহে এটি নেই। 
 
যেসব প্রাণির দেহে অ্যাপেন্ডিক্স আছে তাদের অন্ত্রে উচ্চহারে লিম্ফয়েড টিস্যু জমা হয়। যা রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এই টিস্যু কিছু উপকারি ব্যাক্টেরিয়ার উৎপাদনে উদ্দীপনা যোগাতে পারে। যার ফলে ব্যাক্টেরিয়াগুলো গিয়ে অ্যাপেন্ডিক্স গ্রন্থিতে জমা হয়। ডায়রিয়ার সময় ওই ব্যাক্টেরিয়াগুলো পাকস্থলি থেকে বের হয়েও গেলেও পুনরায় অ্যাপেন্ডিক্স গ্রন্থি থেকে সেগুলো বেড়ে ওঠে।
 
মিডওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক স্মিথ বলেন, "যাদের দেহ থেকে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করা হয় তারা কোনো রোগে আক্রান্ত হলে সুস্থ হতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। কারণ উপকারি ব্যাক্টেরিয়ার আশ্রয়স্থল হিসেবে অ্যাপেন্ডিক্স গ্রন্থিটি না থাকায় তাদের পেট থেকে সব উপকারি ব্যাক্টেরিয়া বের হয়ে পড়ে।" 

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে থাকা একটি অ্যাডেন্ডিক্স গ্রন্থি পাঁচ থেকে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। আর এর ব্যস হয় ছয় থেকে আট মিলিমিটার। তবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগ হওয়ার কারণ কী তা এখনো পরিষ্কার করে জানা যায়নি। তবে এই অ্যাপেন্ডিক্স গ্রন্থিটির কারণেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগ হয়। যা অনেক সময় অপারেশন করে অপসারণ করতে হয়। 

সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট


বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৮ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর