আমাদের কাঁধের সংযোগস্থল হিউমেরাস, স্ক্যাপুলা ও কলার বোন নামক এই তিনটে হাড়কে একত্রে ‘বল ও সফেট’ জয়েন্ট বলে। এই শোল্ডার জয়েন্টকে ঘিরে কিছু কোষ কলা দিয়ে ক্যাপসুল গঠন করে। সেই ক্যাপসুল যখন খুব শক্ত হয়ে যায় তখন আমাদের কাঁধ মুভ করতে কষ্ট হয়। যন্ত্রণা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই অবস্থাকে ফ্রোজেন শোল্ডার বলে।
ফ্রোজেন শোল্ডার কিনা কীভাবে বুঝবেন-
২। কাঁধের যে পাশে সমস্যা হয় সেদিকে কাত হয়ে শুলে সেই হাত নাড়াতে কষ্ট হলে। রাতের দিকে তীব্র যন্ত্রণা।
৩। কাঁধের জয়েন্টে শক্তভাব অনুভূত হয়।
সতর্ক হবেন কখন-
১। ১০-২০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীদের ফ্রোজেন শোল্ডার হয়। তাই ডায়াবেটিস থাকলে সতর্ক হবেন।
২। হাইপোথাইরয়েডিসম, হাইপারথাইরয়েডিসম, কার্ডিও ভাসকুলার অসুখ, পার্কিনসন, স্ট্রোক হলে ফ্রোজেন শোল্ডার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিকার-
১। প্রাথমিকভাবে ঠান্ডা গরম সেঁক দিতে পারেন।
২। ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
উপসর্গ লক্ষ্য করলে অবহেলা করবেন না। সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক এক্সরে ও প্রয়োজনে এমআরআই করিয়ে নিন। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না করলে পরবর্তীকালে ব্যথা তীব্র হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর