২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১০:০০

অসুখ যখন শিশুদের ফুসফুসে

অসুখ যখন শিশুদের ফুসফুসে

‘ব্রংকিওলাইটিস’ শিশুদের ফুসফুসে এক ধরনের ভাইরাসজনিত অসুখ। ফলে আক্রান্ত শিশুরা ভয়ানক কাশি ও শ্বাসকষ্টের শিকার হয়। ‘ব্রংকিওলাইটিস’ অধিকাংশ ক্ষেত্রে আরএসভি নামের ভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হয়। সাধারণত দুই বছরের কম বয়সী শিশু, যাদের বয়স ছয় মাসের কম, তারাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

যেসব শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানো হয়নি, যারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় থাকে, যাদের জন্মের সময় ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল, তাদের এ রোগে ভুগতে বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া আর্থিক অসচ্ছলতা, দূষিত ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এমনকি বাবা-মায়ের ধূমপানের জন্যও ছোট্ট শিশু ‘ব্রংকিওলাইটিসে’ আক্রান্ত হতে পারে।

বছরের যে কোনো সময় এ রোগ হতে পারে। তবে শীত, বসন্ত এবং কখনো কখনো বর্ষার শুরুতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত শিশুর নাক দিয়ে পানি ঝরে, হাঁচি থাকে, সঙ্গে হালকা জ্বরও থাকতে পারে। পরবর্তী সময় কাশি, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া (যা মিনিটে ৫০-৬০ বারের বেশিও হতে পারে), শ্বাসকষ্ট, বুক দেবে যাওয়া, এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বুকে শোঁ শোঁ শব্দ বা বাঁশির আওয়াজও হতে পারে।

আক্রান্ত শিশু কান্নাকাটি করে, অস্থির থাকে। শ্বাসকষ্টের জন্য তাদের খেতে ও ঘুমাতে সমস্যা হতে পারে। কারও কারও দ্রুত শ্বাসের সঙ্গে হৃদস্পন্দনও বেড়ে যায়। উপসর্গ দেখেই একজন বিশেষজ্ঞ এ রোগ নির্ণয় করতে পারে।  রক্ত পরীক্ষা এবং বুকের এক্স-রে রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে। 

উপসর্গ সঙ্গে শারীরিক লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে যদি দ্রুত রোগ নির্ণয় সাপেক্ষে দ্রুত চিকিৎসা করা যায়। এতে অহেতুক ইনজেকশন আর এক্স-রে করানোর বিষয়টি এড়ানো যায়। তীব্র ‘ব্রংকিওলাইটিসে’ আক্রান্ত শিশুর মারাত্মক জটিলতা না থাকলেও  হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

ডা. সজল আশফাক, স্বাস্থ্য নিবন্ধকার, নিউইয়র্ক থেকে

সর্বশেষ খবর