বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

শীতে বাড়ে ধুলাবাহিত রোগ

শীতকালের সঙ্গে ধুলা-বালির সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। অন্যান্য ঋতুর তুলনায় আবহাওয়ায় এ সময় একটু বেশি ধুলা-বালি পরিলক্ষিত হয়। ঘরের ঝুলঝাল পরিষ্কার করছেন বা পুরাতন খাতাপত্র গোছগাছ করছেন এমন সময় শুরু হলো হাঁচি ও পরে শ্বাসকষ্ট। তখনই যে কেউ ভাবতে শুরু করেন এসব হাঁচি, শ্বাসকষ্ট অথবা হাঁপানির কারণ এই ধুলাবালি।

সব ধুলাই কি খারাপ : সাধারণত রাস্তার যে ধুলা পাওয়া যায় তা অজৈব পদার্থ তাতে হাঁচি, কাশি বা হাঁপানির কষ্ট ততটা হয় না। কিন্তু ঘরের মধ্যে অনেক দিন ধরে জমে থাকা ধুলা অ্যালার্জিক অ্যাজমার একটি অন্যতম কারণ। কারণ তাতে মাইট নামক আর্থোপড জাতীয় জীব থাকার জন্য। মাইট বেড়ে ওঠার উপযুক্ত পরিবেশ হলো আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়া (৭৫% আর্দ্রতা)। বিছানা, কার্পেট হলো মাইটের আদর্শ বাসস্থান। আর্দ্রতা ও গরম আবহাওয়ায় মাইট তাদের জীবনচক্র সম্পূর্ণ করে। তাই ধুলোর মধ্যে মিশে থাকা মাইটের শরীর নিঃসৃত রস লালা ও মল সবই একসঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং অ্যালার্জির প্রকাশ ঘটায় যা শেষে অ্যাজমায় রূপান্তরিত হয়।

প্রতিকার : বাসা থেকে কার্পেট সরিয়ে তুলতে হবে। ঘামে ভেজা তোশক ও বালিশের ধুলোয় মাইট বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ, সম্ভব হলে চেন টানা ধুলা প্রতিরোধক ঢাকনা ব্যবহার করা দরকার।

ওষুধ প্রয়োগ : ওষুধ প্রয়োগে সাময়িক উপশম পাওয়া যায়। এছাড়া প্রধান ওষুধ ইনহেলার স্টেরয়েড।

ইমুনোথেরাপি : ইমুনোথেরাপি অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। ভ্যাকসিন বা ইমুরোথেরা-পির মূল উদ্দেশ্য যে মাইটে অ্যাজমার সমস্যা হচ্ছে সেই এলারজেন স্বল্প মাত্রায় শরীরে প্রয়োগ করা।

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, সহযোগী অধ্যাপক, দি অ্যালার্জি অ্যান্ড অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা।

 

 

 

সর্বশেষ খবর