শিরোনাম
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

শীতকালীন রোগবালাই

অধ্যাপক ডা. একেএম মোস্তফা হোসেন

শীতকালীন রোগবালাই

শীতকালে শুকনা আবহাওয়ায় বায়ুবাহিত/ ফুসফুসের রোগই বেশি। যেমন : সাধারণ সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ/এআরআই শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত অ্যালার্জিক রোগ। যেমন : অ্যাজমা, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। জলবসন্ত, যক্ষ্মা, খোসপাঁচড়া ইত্যাদিসহ আরও কিছু রোগ নিম্নে দেওয়া হলো-

জলবসন্ত : এক ধরনের ভাইরাস এ রোগ সৃষ্টি করে। এটি সংক্রমক রোগ। আক্রমণের ফলে রোগী কষ্ট পায় কিন্তু আশার কথা হলো এতে মৃত্যু ঝুঁকি নেই।

লক্ষণসমূহ : গায়ে অল্প অল্প জ্বর ও প্রচণ্ড ব্যথা। দুই-তিন দিন পর প্রথমে বুকে ও পিঠে গুটি বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়, আস্তে আস্তে সারা দেহে গুটি বের হয়, গুটি নরম ও এর ভিতরে পানির মতো এক প্রকার তরল পদার্থ থাকে। কয়েকদিনের মধ্যে গুটি বা ফুসকুড়িগুলো বেশ চুলকায়। যা অনেকটা অস্বস্তিকর।

প্রতিকার : নখ দিয়ে গুটি বা ফুসকুড়ি চুলকানো উচিত নয়। এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসা করতে হবে।

প্রতিরোধ : রোগীকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। রোগীর ব্যবহার করা থালা-বাসন, বিছানাপত্র অন্য কেউ ব্যবহার করবে না। রোগীর ব্যবহার করা বিছানাপত্র সোডা মিশ্রিত পানিতে সিদ্ধ করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। রোগী সুস্থ হওয়ার পরও দুই-তিন সপ্তাহ বাইরে যাওয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

যক্ষ্মা : মারাত্মক বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ। একে টিবি বা যক্ষ্মারোগ বলে। ব্যাকটেরিয়া এ রোগ সৃষ্টি করে।

লক্ষণ : তিন সপ্তাহের রোগী সময় পর্যন্ত কাশি হয়।

বিকালের দিকে অল্প অল্প জ্বর ও রাতে ঘাম হয়। ক্রমাগত ওজন কমে যায় ও শরীর দুর্বল হতে থাকে। বুকে-পিঠে উপরের দিকে ব্যথা হয়।

প্রতিকার : উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, যক্ষ্মারোগীর প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। চিকিৎসা করালে ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে যক্ষ্মারোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।

বিস্তার রোধ : আক্রান্ত রোগীকে আলো-বাতাসপূর্ণ আলাদা ঘরে রাখতে হবে। রোগীর কফ বা থুতু মুখবন্ধ কৌটায় ফেলতে হবে এবং মাটিচাপা দিতে হবে। এ রোগে ছয় মাস বা তারও বেশি সময় চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ ছাড়া যাবে না। আগে এ রোগের সঠিক চিকিৎসা ছিল না। বর্তমানে চিকিৎসা আছে।

প্রতিরোধ : প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার হয়েছে। জন্মের পর থেকে এক বছরের মধ্যে টিকা দেওয়া যায়।

লেখক : বক্ষব্যাধি ও অ্যাজমা বিশেষজ্ঞ, মেডিনোভা, মালিবাগ, ঢাকা।

 

 

সর্বশেষ খবর