সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন

প্রেসক্রিপশন

যদি কোনো অংশের মাংসপেশির কর্মক্ষমতা হারায় তখন রোগী শরীরের ওই অংশের নাড়াচড়া করার ক্ষমতা হারান। তখন আমরা একে প্যারালাইসিস বলি। এ ধরনের রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে পুনর্বাসন তথা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। প্যারালাইসিসের প্রধান কারণ হচ্ছে- রোগীর স্নায়ু বা নার্ভস সিসটেম অকেজো হওয়া।  

স্নায়ুই মূলত মানুষের মাংসপেশিতে একপ্রকার বৈদ্যুতিক শক্তি প্রেরণ করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচড়া করতে সাহায্য করে। প্যারালাইসিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে একিউট বা ক্ষণস্থায়ী অবস্থা এবং ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা- দুভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। একিউট স্টেজে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্যারালাইসিসের কারণ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। আর ক্রনিক স্টেজে দেখা যায়, রোগীর শরীরের এক পাশ প্যারালাইসিস বা যে কোনো এক হাত বা এক পা বা দু'পা বা চার হাত পা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হতে পারে। প্যারালাইসিস রোগীকে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে এবং এর মাধ্যমে রোগীকে পুনর্বাসন করা সম্ভব। এ ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী বর্তমানে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলেছে।       

লেখক:: চেয়ারম্যান, ডিপিআরসি হাসপাতাল, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

 

 

সর্বশেষ খবর