সোমবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

গর্ভেই বাচ্চার থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয়

গর্ভেই বাচ্চার থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয়

আমাদের দেশে থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্দক বংশগত বা জেনেটিক রক্তরোগ। বাবা-মা উভয়েই এ রোগের বাহক হলে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মাতে পারে। থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহকদের সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না বলে তারা বিষয়টি জানতে পারেন না। আমাদের দেশে প্রায় দশভাগ পুরুষ-মহিলা নিজের অজান্তে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। প্রতিদিন গড়ে ২০টি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মায়। সাধারণত শিশুর বয়স এক বছর পার হলে রোগটি ধরা পড়ে। আর বাচ্চার থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ার পরই বাবা-মা জানতে পারেন যে তারা এ রোগের বাহক, নেমে আসে হতাশা। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের অন্যের রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। এভাবে এরা খুব বেশিদিন চলতে পারে না, একদিন বাবা-মায়ের সামনে অনেকেরই জীবন প্রদীপ নিভে যায়। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন থ্যালাসেমিয়া রোগের একমাত্র চিকিৎসা যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল তা ছাড়া সব সময় সফল হয় না। যে সব সমাজে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিয়ে-শাদি বেশি প্রচলিত সে সব সমাজে থ্যালাসেমিয়ার মতো বংশগত রোগবালাই বেশি।

পৃথিবীর অনেক দেশ বিয়ের আগে পাত্রপাত্রী বা সন্তান নেওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রী থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক কিনা তা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে থ্যালাসেমিয়া রোগকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। অন্যদিকে সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশে দিন দিন এ রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যে সব বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত সন্তান আছে তারা সাধারণত ভীত হয়ে আর বাচ্চা নিতে চান না। মাতৃজঠরে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বাচ্চার থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় হয়।

ডা. রেজাউল করিম কাজল, সহযোগী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগ, বিএসএমএমইউ, ঢাকা।

 

সর্বশেষ খবর