মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

নিউরোবিক জিমের সাতকাহন

নিউরোবিক জিমের সাতকাহন

মানসিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, আবেগের আগ্রাসন, কাজের বাড়তি চাপ, জীবনযাপনের চাপ প্রভৃতি হূদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ক্রমাগত মানবজীবনে আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাওয়া, কাজকর্মে তাড়াহুড়ো, আধুনিক জীবনযাত্রায় নিত্যদিনের দুর্ভাবনা সরাসরি মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় প্রতিক্রিয়া ঘটায় বা প্রভাব ফেলে। আজকের মানুষ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটছে। স্বাভাবিকভাবেই এর জন্য তাকে চড়া দামও গুনতে হচ্ছে। ফলস্বরূপ অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন হূদরোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার ফলে অনেক মারণব্যাধির প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়েছে।  কিন্তু মানসিক চাপজনিত অসুখের সংখ্যা ও ধরন দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। এসবের ভিতর দেহে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয়টি অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশ কিছু উন্নত দেশে প্রধান ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে এই হূদরোগ। যে কোনো রোগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে মানুষ মারা পড়ছে এই ঘাতক ব্যাধির কবলে। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের পর বহুসংখ্যক মানুষ প্রতিনিয়ত এই ব্যাধির সঙ্গে সংগ্রাম করে চলেছে। স্ট্রোকের ঝুঁকির ভিতর বসবাস করছে অগণিত মানুষ। বর্তমানে হলিস্টিক পদ্ধতিতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচরণে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ এনে হূদরোগ প্রতিরোধ সম্ভব। এ চিকিৎসার পদ্ধতির ভিতর রয়েছে : নিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, হূদরোগের ঝুঁকি সম্পর্কে শিক্ষাগ্রহণ, ধূমপান পরিত্যাগ, যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন, নিউরোবিক জিম, পাশ্চায়াতের কিছু উন্নত পদ্ধতি। এছাড়া সবচেয়ে প্রয়োজন নিউরোবিক জিম। কারণ বর্তমান প্রেক্ষাপটে  সুস্থ থাকার অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে এই নিউরোবিক জিম। প্রতিদিন সকাল বিকাল ৩০ মিনিট করে করতে হয়। কয়েক সপ্তাহ খাদ্যগ্রহণে পরিবর্তন এনে, নিয়মতান্ত্রিক ব্যায়াম করে, চাপমুক্তির কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে এবং প্রাণায়াম, মেডিটেশন ও নিউরোবিক জিম চর্চা করে বুকের ব্যথা দূরীভূত করা সম্ভব। তাই  সবাইকে সতর্ক হতে হবে। থাকতে হবে চিন্তামুক্ত। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানসিক প্রশান্তি।

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

ফোন: ০১৭২১৮৬৮৬০৬

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর