হাজেরা বেগম এখন দাদী।
নাতি-নাতনি নিয়ে তিনি ভালোই কাটাচ্ছেন কিন্তু কিছুদিন যাবৎ তিনি নামাজ পড়তে ও টয়লেট ব্যবহার করতে অসুবিধা বোধ করছেন কারণ উঠতে বসতে হাজেরা বেগমের হাঁটুতে ব্যথা হয়। তিনি এমন একটি হাড় ক্ষয়জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন যাকে সাধারণ মানুষ হাঁটু ব্যথা বলে থাকে। আর চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে ‘অস্টিও আর্থ্রাইটিস অব নি’ বলা হয়। হাঁটু ব্যথা শুধু ক্ষয়জনিত রোগেই নয়, বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি হাঁটু ব্যথা সাধারণত অস্থিক্ষয়ের জন্যই হয়ে থাকে। জোড়ার ভিতর আঠালো একপ্রকার পদার্থ থাকে যা জোড়াকে নড়াচড়া করতে সহজ করে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে এই তরল পদার্থ শুকিয়ে গেলেও এই রোগ দেখা দেয়। এ সমস্যা একদিনে তৈরি অস্বাভাবিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে আস্তে আস্তে রোগের প্রতিক্রিয়া লক্ষণ পায়। এটাকে প্রাথমিক পর্যায়ে হালকা গরম হওয়া, ফুলে যাওয়া, ব্যথা হওয়া থেকে শুরু হয়ে এবং পরবর্তীতে হাঁটু নড়াচড়া
করলে প্রচুর ব্যথা হয়, রোগীর নামাজ পড়তে, পায়খানা ব্যবহার করতে এবং দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধা হয়। যেহেতু এ রোগের প্রধান কারণ ক্ষয়জনিত সমস্যা। তাই এর প্রধান চিকিৎসা হাড়ক্ষয় বন্ধ করার থেরাপি দিতে হবে। এসব থেরাপি আধুনিক ও নিরাপদ। তার মধ্যে পিআরপি, টিআরপি, ন্ট্রাআর্টিকুলার অত্যাধুনিক। এছাড়া ডায়াবেটিস সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখা, শরীরের ওজন কমানো, হাঁটু গেড়ে না বসা, নিয়ম করে ব্যায়াম করা। মনে রাখবেন, প্রতিকারনয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।
লেখক: সিইও এবং চেয়ারম্যান ডিপিআরসি হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন : ০১৯৮৯০০০২২২