মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

হার্ট অ্যাটাক নিয়ে যত কথা

ডা. ফারহান আহমেদ

হার্ট অ্যাটাক নিয়ে যত কথা

হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে হৃৎপিণ্ডের কোনো বিশেষ অঞ্চলে রক্ত-স্বল্পতার জন্য সৃষ্ট অকার্যকারতা। করনারি ধমনীর ভিতর সৃষ্ট অংশের উপর ভিত্তি করে হার্ট অ্যাটাকের প্রকারভেদ হয়। যেমন- যদি অ্যাটাকটি করনারি ধমনীর প্রথম ভাগ, যেখান থেকে সমস্ত করনারি ধমনীতে রক্ত সরবরাহ হয় সেখানে হয়, যার ফলে সমস্ত হৃৎপিণ্ড একসঙ্গে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, তাকে, মেসিভ হার্ট অ্যাটাক (Massive Heart Attack), এই অ্যাটাক যদি করনারি ধমনীর এমন কোনো অংশে হয়, যার ফলে হৃৎপিণ্ডের কোনো একটি অংশ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, তাকে মেজর হার্ট অ্যাটাক (Major Heart Attack), আর যদি এই অ্যাটাক করনারি ধমনীর নিচের অংশে বা কোনো শাখা-প্রশাখায় হয়, যার ফলে হৃৎপিণ্ডের কোনো একটি ছোট অংশ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, তাকে, মাইনর হার্ট অ্যাটাক (Minor Heart Attack) বলে। মানুষের তথ্যের অভাব কিংবা চিকিৎসক-রোগীর মাঝের দূরত্ব এবং চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত উপস্থাপনার অভাবে রোগীরা এই হার্ট অ্যাটাককে এক দানব আকারে গ্রহণ করেছে। হার্ট অ্যাটাক নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যের চেয়ে কুসংস্কারই আমাদের সমাজে বেশি প্রচলিত। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর একজন মানুষ তার পরিবার এবং পরিচিত মানুষের মাঝে এক ভিন্ন গ্রহের প্রাণীতে পরিণত হয়। জোরে কথা বলতে মানা, হাসতে মানা, হাঁটতে মানা, এভাবে চলা যাবে না, এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না, আরও কত কি। ভেবে দেখেছেন কি, এগুলোর কতটুকুই-বা প্রয়োজন আছে? আসলে হার্ট অ্যাটাক একটি আকস্মিক সমস্যা, যা কখন হবে তা বলতে পারা সম্ভব নয়। যেখানে একবার হয়ে যাবে সে অংশের কিছুই করার থাকে না। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর, পরের অ্যাটাক যেন না হয় তার জন্য সাবধানতার নামে উপরের কাণ্ডগুলো করা হয়, যার কতটুকু প্রয়োজন আছে তা ভেবে দেখুন। তাই হার্ট নিয়ে এখনই সচেতন হতে হবে। মানতে চিকিৎসকের পরামর্শ। মনে রাখতে হবে, প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা না নিলে এসব ক্ষেত্রে জটিলতা আরও বাড়তে পারে। লেখক : কনসালটেন্ট, সাওল হার্ট সেন্টার, ইস্কাটন রোড, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর