শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

অ্যালার্জিজনিত রোগ অ্যাজমা

অধ্যাপক ডা. একেএম মোস্তফা হোসেন

অ্যালার্জিজনিত রোগ অ্যাজমা

গ্রিক ভাষায় অ্যাজমা শব্দের অর্থ হলো হাঁ করে শ্বাস নেওয়া। গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস সর্বপ্রথম অ্যাজমা শব্দটি ব্যবহার করেন। অ্যাজমা বা হাঁপানি হলো এমন একটি শারীরিক অসুস্থতা যার দ্বারা সব বয়সের লোকজন আক্রান্ত হতে পারে।  অ্যাজমা রোগীর শ্বাসনালি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। এ জন্য কোনো উত্তেজক যেমন— ধুলাবালি, পশুপাখির স্পর্শ, ঠাণ্ডা, ফুলের রেণু ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে এদের শ্বাসনালি হঠাৎ সংকুচিত হয়ে তীব্র শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি করে। এ রোগ কখনোই নির্মূল করা যায় না। তবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ এ রোগে ভুগছেন। অ্যাজমার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ ধরনের রোগীদের বংশগত অ্যাজমার প্রকোপ থাকে।

অ্যাজমার প্রধান উৎস হচ্ছে অ্যালার্জিজনিত রোগ। তাই এ রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা। ধুলাবালি, ঠাণ্ডা বা গরম আবহাওয়া, বিভিন্ন ধরনের খাবারের মাধ্যমে একজন লোক সহজেই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

অ্যাজমার লক্ষণসমূহ : দম বন্ধ অনুভূত হওয়া।  শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।  বুকের ভিতর বাঁশির মতো শাঁ শাঁ শব্দ অনুভব করা।  বুক ভরে শ্বাস নিতে না পারা। অল্প পরিশ্রম করলে রোগী হয়রান অনুভব করবে।

কিছু তথ্য : পরিবেশের যেসব উপাদানে অ্যাজমার লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাকে অ্যালার্জন বলে। নিম্নোক্ত কারণে অ্যালার্জন হয়ে থাকে—১. পোকা-প্রাণী। ২. পশু-পাখির লোম। ৩. ধুলাবালি, বিশেষ করে ঘরের মাইট। ৪. ধূমপান। ৫. পোকা-মাকড়। ৬. ফুলের রেণু। ৭. আবেগ/টেনশন। ৮. ঠাণ্ডা আবহাওয়া। ৯. কিছু খাবার, যেমন- বেগুন, পুঁইশাক, চিংড়ি, ইলিশ, গরু, পাকা কলা, হাঁসের ডিম ইত্যাদি। ১০. কিছু ব্যথানাশক ওষুধ— শুধু এগুলোর উপাদান দ্বারাই অ্যাজমা হবে এমন কোনো কথা নেই। প্রত্যেকের অ্যালার্জেন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

এছাড়া অ্যাজমা অ্যালার্জিজনিত রোগ, তাই এ রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা। কোন জিনিসটাতে শিশুর অ্যালার্জিন পরিমাণ বাড়ছে বাবা-মাকে তার খেয়াল করতে হবে। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ওষুধ নিতে হবে।

লেখক : বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, মেডিনোভা মালিবাগ, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর