আমাদের গলার সামনের দিকে থাইরয়েড তরুণাস্থির দুই পাশে থাইরয়েড গ্রন্থি (Thyroid gland) অবস্থিত। এই  গ্রন্থিদ্বয় থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। তাকে থাইরয়েড হরমোন বলে। মূলত এই হরমোন হচ্ছে থাইরক্সিন ও ট্রাই আয়োডো থাইরোনিন আয়োডিন যুক্ত যৌগ। যদি কোনো কারণে থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে বা কমে যে সমস্যার সৃষ্টি করে, সে সমস্যাগুলোই থাইরয়েড সমস্যা। যেমন— থাইরয়েড গ্রন্থিতে হরমোন কমে গেলে তাকে হাইপো থাইরোডিজম (Hypothyrodism) বলে।   হাইপো-থাইরোডিজমের লক্ষণ : শারীরিক ক্লান্তিবোধ, ঝিমুনি, ওজন বৃদ্ধি, ঠাণ্ডা অসহ্য, গলার স্বর মোটা হয়ে যাওয়া এবং গলগণ্ড হওয়া, হার্টবিট কমে যাওয়া (Bradzcardia), বুকে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ (Hypertision), হার্টফেল,  শরীর ব্যথা, কামড়ানি, মাংসপেশির কাঠিন্য, রক্তশূন্যতা, শরীরের ত্বকের শুষ্কতা, হাত-পা ও চোখের পাতায় চর্বি জাতীয় পদার্থ জমে ফুলে ওঠা, অতিমাত্রায় ঋতুস্রাব, বন্ধ্যত্ব, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিতেও থাইরয়েড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের চিকিৎসা সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করলে ফলাফল ভালো পাওয়া যায়। অন্যথায় যে কোনো রোগের জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।

অধ্যক্ষ ডা. একে আজাদ