শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঝেড়ে ফেলুন টেনশন

ঝেড়ে ফেলুন টেনশন

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিরাট সংখ্যায় লোকের হার্টঅ্যাটাক হয় আর তাদের এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মারা যায়। ভালোভাবে অধ্যয়ন করলে এটা জানা যাবে যে, এ রোগের মুখ্য কারণ হচ্ছে হৃদয়ের ধমনীগুলোয় জমে থাকা ফ্যাট অর্থাৎ কলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডসের লাগাতার স্থায়ী রূপে জমা হওয়া আর এই জিনিসটাকে আমরা নিজেদের আধুনিক জীবনশৈলী দ্বারা আরও বাড়িয়ে তুলেছি।

আমরা শারীরিক পরিশ্রম করা এখন প্রায় বন্ধই করে দিয়েছি। সুতরাং আমরা যে তেল, ঘি বা অন্য ফ্যাট দিয়ে তৈরি খাবার খাই, সেগুলোকে আমাদের শরীর পূর্ণরূপে প্রয়োগ করতে পারে না। অনুপযুক্ত এবং অতিরিক্ত ফ্যাট, অন্য তত্ত্বগুলোর সহায়তায়, যেমন আধুনিক জীবনের চাপ, ধূমপানের অভ্যাস এবং এরকমই আরও অনেক কারণে শরীর আর হৃদয়ের ধমনীগুলোয় জমা হতে শুরু করে, যার ফলে হৃদয় রোগের উত্পত্তি হয়। একটা ভালো খবর হচ্ছে— আমরা নিজেদের জীবনশৈলীতে ছোটখাটো সঠিক পরিবর্তন নিয়ে এলে বেড়েচলা হৃদয় রোগকে আটকাতে পারব তাই নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমাতে পারব। এ কথা বলা যায় যে, এখন ফ্যাট আর কলেস্টেরল, যেগুলো হৃদয়ের ধমনীগুলোয় রক্তের প্রবাহকে বাধা প্রদান করে সেগুলোকে সরানো যেতে পারে। এ লক্ষ্যে নতুন যেসব চিকিৎসা পদ্ধতি এগিয়ে চলেছে সেগুলোর মধ্যে হলিস্টিক অন্যতম। এ চিকিৎসায় রোগী নিজেই চিকিৎসক, ডাক্তার শুধু নিমিত্ত। প্রয়োজন শুধু টেনশনমুক্ত থাকা।

কারা হবেন উপকৃত : যার এক বা একাধিকবার হার্টঅ্যাটাক হয়ে গেছে ♦ যিনি এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারির জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছেন, বিশেষত হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা বেশি কমে গেলে ♦ বেশি বয়স  ♦ মাল্টিপল ব্লকেজ ♦ মাইক্রোভাসকুলার ব্লকেজ ♦ কিডনির কার্যকরী ক্ষমতা কমে গেলে ♦ হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে ♦ পায়ের আর্টারিতে অত্যধিক ব্লকেজ থাকলে ♦ কেরোটিড আর্টারি ও কিডনি আর্টারিতে ব্লকেজ থাকলে ♦ এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারির পর যার পুনরায় ব্লকেজ ধরা পড়েছে ♦ যার অস্বাভাবিক মাত্রায় রক্তে কলেস্টেরল বিদ্যমান।

এ চিকিৎসায় রোগী নিজেই চিকিৎসক, ডাক্তার শুধু নিমিত্ত। প্রয়োজন শুধু টেনশনমুক্ত থাকা। সুতরাং জেনে রাখা দরকার প্রতিকার নয় প্রতিরোধ উত্তম।

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর