শিরোনাম
শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

রেড মিট গ্রহণে সতর্কতা

কোরবানি মানেই হলো রেড মিট বা লাল মাংসের সম্ভার এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টে-রলের মুখোমুখি হওয়া। গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ, উট ও দুম্বার মাংসকে বলে রেড মিট বা লাল মাংস। আর এ মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খারাপ কোলেস্টেরল, যা হৃৎপিণ্ডের প্রধান শত্রু।

তাই কোরবানির মাংস গ্রহণে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

চর্বি বাদ দেওয়ার কৌশল :

পশু কোরবানির পর মাংস কাটার সময় চর্বি যতটা সম্ভব কেটে বাদ দেবেন। * রান্নার আগে মাংস আগুনে ঝলসে নিলে কিছু চর্বি গলে পড়ে যায়। এভাবে মাংস চর্বিমুক্ত করা যেতে পারে। * মাংস একটু হলুদ-লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে রেফ্রিজারেটরে ঠাণ্ডা করলে কিছুটা চর্বি মাংস থেকে বেরিয়ে এসে জমাকৃত অবস্থায় থাকে। এ অবস্থায় বাড়তি চর্বিটুকু একটা চামচ দিয়ে আঁচড়ে সহজে বাদ দেওয়া যায়। * এ ছাড়া মাংস একটি র‌্যাক বা ছিদ্রযুক্ত পাত্রে রেখে অন্য একটি পাত্রের ওপর বসিয়ে চুলায় দিলে নিচের পাত্রে মাংসের ঝরে যাওয়া চর্বি জমা হবে। এ পদ্ধতিতে মাংস থেকে চর্বি  সহজেই বাদ দেওয়া যায়।

কোলেস্টেরল ভাবনা : কোরবানির মাংস খাওয়ার সময় অবশ্যই কোলেস্টেরলের কথা মনে রাখতে হবে। কারণ মন্দ কোলেস্টেরল নীরবে মৃত্যু ডেকে আনে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি কিংবা বিপদসীমার কাছাকাছি তারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে মাংস খাবেন। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে কিংবা ৩০ বছর বয়সের পর যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০-এর বেশি, তাদের রেড মিট বা লাল মাংস না খাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন। কোরবানিতে যেহেতু মাংস খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে তাই বুঝেশুনে খেতে হবে। এছাড়া ঈদের সময়টায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে একটু বেশি যেতে হয়। আর করতে হয় ভুরিভোজ। মাথায় রাখুন আপনি যেখানেই যাবেন অল্প করে খাবেন। দিনে চারবারের পরিবর্তে ছয়বার খান। দুপুরে হালকা খেয়ে বিকালে খেতে পারেন ফ্রুটস সালাদ বা ফল।

ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল

সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর