সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঘাড় ব্যথার ব্যতিক্রমী উপসর্গ

চল্লিশোর্ধ্ব মামুন সাহেব। একদিন সকালে তীব্র বুকের ব্যথায় আক্রান্ত হলেন, উদ্বিগ্ন পরিবার তাকে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ইসিজির সঙ্গে ঘাড়ের একটি ডিজিটাল এক্স-রে করালেন। দেখা গেল মামুন সাহেব সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিসে আক্রান্ত। অনেক রোগী আছেন যারা ঘাড়ের রোগে আক্রান্ত কিন্তু উপসর্গ প্রকাশ পেয়েছে অন্যভাবে।

সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস : আমাদের মেরুদণ্ডের উপরের অংশের সাতটি কশেরুকা, কশেরুকার মধ্যবর্তী চাকতি, মাংশপেশি, লিগামেন্ট ও স্নায়ু জালিকা নিয়ে ঘাড় গঠিত। স্নায়ু জালিকাটি থেকে স্নায়ুসমূহ দুই হাত, বুক, পিঠ ও মাথার কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এখন কশেরুকা বা কশেরুকার মধ্যবর্তী চাকতির আকার বা অবস্থান পরিবর্তনের ফলে স্নায়ুর গোড়ায় চাপ সৃষ্টি হলেই স্নায়ুর ছড়িয়ে পড়া যে কোনো অংশে অস্বস্তি অনুভূত বা ব্যথা হয়। নির্ভর করে কত নম্বর স্নায়ুটি আক্রান্ত।

রোগ নির্ণয় : শারীরিক পরীক্ষার সঙ্গে এমআরআই করালে কশেরুকা, চাকতি ও স্নায়ুসমূহের স্বচ্ছ চিত্র পাওয়া যায়। ব্যথার উত্পত্তি স্থলকে সুনির্দিষ্ট করে চিকিৎসা নিতে হবে।

চিকিৎসা : মূল উদ্দেশ্য হলো চাপে পড়া স্নায়ুটিকে চাপমুক্ত করা। যে কোনো শারীরিক ব্যথাই ফিজিওথেরাপি অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। ঘাড় ব্যথাও এর ব্যতিক্রম নয়। এসব চিকিৎসা রোগীকে ঘাড় ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। পাশাপাশি নিয়ম মেনে চলা আর বিজ্ঞানসম্মত ব্যায়াম করতে হয়। ঘাড় ব্যথার রোগীরা পাতলা বালিশ ও নরম বিছানায় ঘুমানো উত্তম।

ডা. মোহাম্মদ আলী, পরিচালক

ও ফিজিওথেরাপি কনসালটেন্ট, এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর