বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

স্তন ক্যান্সারে সচেতনতা

প্রতি ৮ জন মহিলার মধ্যে একজনের স্তন ক্যান্সার হতে পারে এবং প্রতি ৩৬ জন আক্রান্ত নারীর মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা একজনের। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে- ১. বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। ২. স্তনে গ্রন্থির পরিমাণ অধিক হলে। ৩. অল্প বয়সে ঋতুস াব হলে এবং বেশি বয়সে স্রাব বন্ধ হলে। ৪. কখনো সন্তান ধারণ না করলে। ৫. মেদবহুল দেহ, মোটা ভুঁড়ি ও অতিরিক্ত ওজন হলে। কারণ এর সঙ্গে হরমোনের সম্পর্ক থাকে। ৬. রক্ত সম্পর্কীয় কোনো আত্মীয় যদি স্তন, কোলন বা জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। পরিবারের অতি নিকট আত্মীয় যদি (যেমন- মা, বোন, খালা, ফুপু) ৫০ বছর বয়সের আগেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন অথবা পরিবারে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দুইয়ের অধিক হয় তাহলে এ রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

৭. দীর্ঘদিন একটানা জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি সেবন করলে। ৮. ঋতুস াব বন্ধের (মেনোপজ) পর অনেকদিন হরমোন রিপ্লেসমেন্ট বড়ি সেবন করলে। ৯. অতিরিক্ত লাল মাংস খেলে। ১০. এক স্তনে ক্যান্সার হলে। ১১. মদ্যপান। ১২. বাচ্চাকে বুকের দুধ না খাওয়ালে।

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে : ১. নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দেহের স্বাভাবিক ওজন বজায় থাকলে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হালকা শারীরিক পরিশ্রম এ ঝুঁকি বহুলাংশে কমাবে। ২. শিশুকে পূর্ণ দুই বছর মায়ের দুধ খাওয়ালে। ৩. ৩০ বছরের মধ্যে ১-২টি সন্তান গ্রহণে ঝুঁকি কমে। ৪. প্রতিদিনের

খাদ্য তালিকায় মাংস, চর্বি ও

শর্করা জাতীয় খাবার কমিয়ে শাক-সবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত

খাবারের পরিমাণ বাড়ালে।

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করতে হলে : ১. ২০ বছর বয়স হলেই প্রতি মাসে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা। ২. ৪০ বছর বয়স হলেই প্রতি বছর চিকিৎসক দ্বারা শারীরিক পরীক্ষা করা। ৩. চিকিৎসকের পরামর্শে আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ম্যামোগ্রাফি, এফএনএসি করা। ৪. ৪০ ঊর্ধ্বদের ২-৩ বছর পর পর স্ক্রিনিং ম্যামোগ্রাফি করা হলে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় সম্ভব। ৫. এমআর ম্যামোগ্রাফি : কম বয়সী ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের এমআর ম্যামোগ্রাফি করে স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং করা যায়। এতে কোনো তেজস্ক্রিয় রশ্মির ব্যবহার হয় না।

ডা. রুশদানা রহমান তমা

কনসাল্টেন্ট (গাইনি), সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা।

[email protected]

 

সর্বশেষ খবর