বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কিডনি রোগের সাতকাহন

কিডনি রোগের সাতকাহন

বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগ আছে যেমন- কিডনি বিকল, কিডনির ইনফেকশন, কিডনির পাথর, নেফ্রোটিক সিনড্রোম, পারিবারিক কিডনি রোগ। এ ছাড়া আরও অনেক কিছু। কিডনি বিকল দু’ধরনের। আকস্মিক কিডনি বিকল ও ধীরগতিতে কিডনি বিকল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধীরগতিতে কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণই কিডনিজনিত ইনফেকশন, অর্থাৎ Glomerulo nephritis কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশে ডায়াবেটিসই ধীরগতিতে কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণ। এ ছাড়া যদিও আমাদের দেশে কিডনি বিকলের দ্বিতীয় প্রধান কারণ। এ ছাড়া উচ্চরক্তচাপ হচ্ছে ধীরগতিতে কিডনি বিকলের কারণ, এ ছাড়া ADPKD অর্থাৎ বংশগত কিডনি রোগ, Obstructive Uropathy প্রস্রাব ইনফেকশন, কিডনির পাথর ছাড়া অন্যান্য বহু কারণে দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, ধীরগতিতে কিডনি বিকল হতে পারে। তাই ধীরগতিতে কিডনি বিকল প্রতিরোধের জন্য অবশ্যই ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এ ছাড়া কিডনির ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে হবে, বিশেষ করে গলা ব্যথা খোসপাঁচড়া বা Scables হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। কিডনির পাথর এবং প্রস্রাবের ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য পরিমিত পানি খেতে হবে আর বংশগত কিডনি রোগ থাকলেও সচেতন হতে হবে। দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধও খাওয়া যাবে না, কারণ আকস্মিক কিডনি বিকলের প্রথম এবং প্রধান কারণ Rota Viral ডায়রিয়া। অনেকেরই জানা নেই ডায়রিয়া হলে পানিশূন্যতা থেকে হঠাৎ কিডনি বিকল হতে পারে। তাই কিডনি রোগ প্রতিরোধে কিছু কিছু বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। ১. যারা দীর্ঘদিন উচ্চরক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা অবশ্যই উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন এবং আজই কিডনি পরীক্ষা করে নেবেন।  ২. খোসপাঁচড়া বা Scabies হলে অবহেলা করবেন না, অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে। ৩. ব্যথানাশক ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই খাবেন না। ৪. ডায়রিয়া হলে যাতে পানিশূন্যতা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। ৫. মহিলারা স্বতন্ত্র গর্ভপাত বা Abortion করবেন না তাতে ইনফেকশন বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কিডনি বিকল হতে পারে। ৬. কিডনির পাথর প্রতিরোধে পানি খাবেন।

ডা. সহেলী আহমেদ সুইটি, সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল

কলেজ হাসপাতাল, এবং কনসালটেন্ট, ল্যাবএইড, উত্তরা, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর