সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

লিভার ক্যান্সার ও ‘টেস’ পদ্ধতির কথা

লিভার ক্যান্সার ও ‘টেস’ পদ্ধতির কথা

শিরার মাধ্যমে বিশেষভাবে টিউমারে বা ক্যান্সারে চারপাশে কেমোথেরাপি প্রয়োগ করার বিশেষ পদ্ধতিকে টেস বলা হয়। আরও বিশদভাবে যদি আলোচনা করা হয় টেস হলো সেই পদ্ধতি যা লিভার ক্যান্সারকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। ট্রান্স আটাইরাল কেমো এম্বোলইজেশন পদ্ধতির নাম টেস।

কাদের জন্য টেস : সাধারণত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে টেস সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতির আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। লিভারে টিউমার বা ক্যান্সার হলে প্রচলিত পদ্ধতি তেমন কোনো উপকার আক্রান্ত রোগীকে প্রদান করা সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু যাদের লিভার ক্যান্সার হয় তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্যান্সার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যারা সিরটিক লিভার, হেপাটাইটিস বি, সি পজেটিভ, আলফা বিটা প্রোটিন অনেক বেশি থাকে এবং হিসটোপ্যাথলজি এবং এফেনেসির মাধ্যমে যাদের লিভার ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে টেস খুবই কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অন্যান্য ব্লাড প্যারামিটার অস্বাভাবিক থাকে তাদের ক্ষেত্রে টেস করা হয়ে থাকে। যাদের সার্জারি সম্ভব নয়, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সম্ভব নয়, শরীরের অন্য জায়গা থেকে লিভারে সেকেন্ডারি লিভার ক্যান্সার হয়, টিউমারের সাইজ অস্বাভাবিক বড় থাকে, মাল্টিপোল অনেক টিউমার লিভারের মধ্যে থাকে তাদের ক্ষেত্রে টেস খুবই কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। যাদের লিভারে মেইন শিরা প্রোটাল ভেন থ্রোম্বোসিস আছে কিন্তু ডান ও বাম পাশের প্রোটাল ভেন খোলা থাকে তাদের টেস করা সম্ভব হয়ে থাকে।

কাদের জন্য টেস প্রযোজ্য নয় : টেস করা যাবে না, সেই রোগীদের যাদের প্রোটাল ভেন থ্রোম্বোসিস থাকে বা আছে। যাদের লিভার ক্যান্সারের কারণে পেটে পানি চলে আসে সেই সব রোগীকে টেস করা সম্ভব হয়ে থাকে না সাধারণত।

সুবিধা : বর্তমানে এই আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সুফল হলো সম্পূর্ণভাবে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এছাড়া এসব রোগীকে কোনো প্রকার অচেতন বা অজ্ঞান করার প্রয়োজন পড়ে না। অন্যদিকে ৩০০ গুণ বেশি কেমোথেরাপি টিউমারের চারপাশে প্রয়োগ করা যায়। যার ফলে টিউমারের ভিতরে যে ক্যান্সারের জীবাণু থাকে তা  ১০০ ভাগ পর্যন্ত মারা যায়।

ডা. আহম্মেদ সরোয়ার মুর্শেদ

সেন্টার ফর ইন্টারভেনশোনাল অনক্লোজি, গ্রিন রোড, ঢাকা।

ফোন : ০১৬১১৩২৮৯৩৯

সর্বশেষ খবর