অনেকে খেয়াল করবেন তাদের পা বাঁকানো না হয়ে সমান বা কম বাঁকানো। এ ধরনের পা’কে ফ্লাটফুট বলে। এ ধরনের পা শরীরের ওজন সুষমভাবে বণ্টন করতে পারে না ফলে পায়ের মাংসপেশিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয় যা গোড়ালির হাড় ও মাংসপেশির সংযোগস্থলে প্রদাহ তৈরি করে। এটাই প্লান্টার ফাসাইটিস বা গোড়ালি ব্যথা। তবে ফ্লাটফুট ছাড়াও পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। যারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করেন, পেনসিল হিল বা উঁচু হিলের জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করেন বা যাদের ওজন বেশি তারাই একটু বেশি গোড়ালি ব্যথায় ভোগেন।

লক্ষণ : পায়ের গোড়ালিতে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হয়। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠে মেঝেতে পা দিতে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। অনেকে দিনের বেলায় কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর মেঝেতে পা দিতেও ব্যথা অনুভব করেন। রোগ নির্ণয় : এক্স-রে করা যেতে পারে। অনেক সময় পায়ের গোড়ালির হাড়ে কাটার আকৃতির স্পার দেখা যায়। শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমেই ফ্লাটফুট আছে কিনা তা অনেকটাই নির্ণয় করা সম্ভব।

পরামর্শ : শরীরের বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলুন। এ ব্যথায় আক্রান্তরা উঁচু হিলের জুতা ব্যবহার করবেন না। নরম আরামদায়ক মোডিফাইড জুতা ব্যবহার করুন। একভাবে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না। এছাড়া প্রতিদিন সকালে আক্রান্ত

পা লবণ মিশ্রিত গরম পানিতে ১০/১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

ডা. মোহাম্মদ আলী

চেয়ারম্যান, এইচপিআরসি, ঢাকা। ফোন : ০১৭৩২৭৬২৩৩৩