মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কোমর ব্যথার সাতকাহন

কোমর ব্যথার সাতকাহন

সারজিল রহমান (ছদ্মনাম), বয়স ৪৭। নিজেই গাড়ি চালিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল যান প্রতি কর্মদিবসেই। যানজটের কারণে প্রতিদিনই প্রায় ২-৪ ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হয়। অফিসে গিয়েও বসে থাকার কাজ- কমপক্ষে ৮-৯ ঘণ্টা। ফলে  সম্প্রতি উনার ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, খুব কম মাত্রার যদিও। সামনে ঝুঁকে মোজা পরতে গিয়ে তিনি কোমরে তীব্র খিঁচুনি অনুভব করলেন। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে পড়ে গেলেন মেঝেতে। চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা করে জানালেন; তিনি সম্ভবত ডিস্ক প্রল্যাপ্সে আক্রান্ত। এমআরআই রিপোর্টও একই বর্ণনা দিল। যদিও তার ডিস্কটি ছিঁড়ে যায়নি। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানে protrusion বলে। কোমরের দুটি কশেরুকার মধ্যবর্তী চাকতিটি বের হয়ে স্নায়ুর গোড়ায় চাপ দিলেই সেটি ডিস্ক প্রল্যাপ্স। প্রল্যাপ্স মূলত দুই ধরনের- Protrusion and extrusion. প্রথম ধরনটি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। যাই হোক, চিকিৎসক সারজিল সাহেবকে হাসপাতালে ভর্তি করে ইন্টিগ্রেটেড পেইন ম্যানেজমেন্টের আওতায় চিকিৎসা দিলেন। দুই সপ্তাহের কম সময়ে রোগী পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে কি ঘটতে পারত? আমাদের দেশের রোগীরা অতি মাত্রায় ব্যথানাশকের ওপর নির্ভরশীল। ব্যথা হলেই রোগীরা ব্যথানাশক সেবন করে ব্যথাকে দমিয়ে ফেলেন। ফলে সামান্য সমস্যাই পরে গুরুতর আকার ধারণ করে। সারজিল সাহেব চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বিশ্রামপূর্বক সঠিক চিকিৎসা না নিয়ে ব্যথানাশক খেয়ে নিজের কাজ চালিয়ে গেলে বিপদে পড়তে পারতেন। তার বের হয়ে যাওয়া ডিস্কটি অধিক চাপে ছিঁড়ে গিয়ে সমস্যা জটিল করে তুলতে পারত। 

ডা. মোহাম্মদ আলী, পরিচালক,

এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা। ফোন: ০১৮৭২৫৫৫৪৪৪

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর