মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন

প্রেসক্রিপশন

নাকের পলিপ ও অন্যান্য রোগবালাই নিয়ে রোগীদের মধ্যে প্রায়ই মতভেদ দেখা যায়। অনেকে এগুলোকে অবহেলা করে থাকেন। নাকের মিউকাস মেমব্রেন বৃদ্ধি পেলে বা তাতে জলীয় পদার্থ বেশি জমলে মেমব্রন থেকে আঙ্গুর ফলের মতো বস্তু দেখা দেয় যাকে পলিপ বলে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নাকের সম্মুখভাগে দেখা দেয়। একসঙ্গে একের অধিক হতে পারে। পলিপ দুই প্রকার। (১) অ্যালার্জিজনিত, (২) নাকের সাইনাসের পুরনো প্রদাহজনিত।

লক্ষণ : লক্ষণ দেখে বিভিন্ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা  নেওয়া উত্তম। যখন পলিপ ছোট থাকে তখন কোনো লক্ষণ থাকে না। ধীরে ধীরে লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। যখন বড় আকারের হয় তখন শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা ও সাইনাসের স্বাভাবিক বন্ধ হয়। রোগীর প্রায়ই সর্দি হতে থাকে এবং নাক বন্ধ থাকার অনুভূতি অথবা পর্যায়ক্রমে এক নাকের বন্ধ থাকার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। প্রথম পর্যায় নাকের শ্লেষ্মা পানির মতো থাকে। যখন জীবাণু ধারা আক্রান্ত হয় তখন পুঁজযুক্ত হয়।

কারণ : নাকের ছিদ্রপথের উপরের দিক স্বভাবত অপরিসর। মধ্যবর্তী কনকা (Meddle Concha ev Turbinat) ও মিডল মিয়াটাসের (Middle Meatus) পাশে স্থান খুব  কম থাকায় এই স্থানে প্রদাহ হলে বা অ্যালার্জিজনিত পরিবর্তন হলে স্থানীয় মিউকাস মেমব্রেন নিচের দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

অধ্যক্ষ ডা. মো. কালাম আজাদ

কনসালটেন্ট, হোমিওপ্যাথিক ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ঢাকা।

ফোন : ০১৯২৮৭০৫০৩০

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর